মুর্শিদাবাদে পুলিশকে ভয় পাচ্ছে আক্রান্তরা , SP-DM কে বললেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি-National Human Rights Commission

Published By: Madhyabanga News | Published On:

 

মুর্শিদাবাদেও ঘটছে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ।  ভ্যাকসিন, ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে না বিজেপি’র ভোটারদের, শুক্রবার বহরমপুরে  মুর্শিদাবাদের  এসপি কে শবরী রাজকুমার এবং জেলা শাসক এসকে দ্বিবেদীকে এই কথাই   বললেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদ-Atif Rasheed ।

মুর্শিদাবাদে  এসেছে  জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission)-এর প্রতিনিধিদল  ৷ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন  জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন (National Commission for Minorities)-এর ভাইস-চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ (Atif Rasheed) ৷  ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় বহু পরিবার আক্রান্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল ।  এবার মুর্শিদাবাদে  সব আক্রান্তদের মুখেই অভিযোগ শুনল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সাথে আক্রান্তদের মুখোমুখি বৈঠক হয়।   বহরমপুরে সার্কিট হাউসে প্রায় ৫০ জন নিজেদের অভিযোগ শোনাতে হাজির হয়েছিলেন এদিন। ছিলেন বিজেপি কার্যকর্তারা। পরে জেলাশাসক এবং এসপি’ ডেকে পাঠান  আতিফ রশিদ।

আতিফ বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় কিছু ভোটারকে ভ্যাকসিনেশন থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার কাছে এসে কান্নাকাটি করেছেন শতাধিক আক্রান্ত। তারা ভয় পাচ্ছেন পুলিশকেও। তিনি টুইট করেন একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে এসপি শবরী রাজকুমার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে মুর্শিদাবাদে আইন শৃংখলার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো। তবে রশিদ জেলা পুলিশ সুপারের মুখের ওপরেই আতিফ রশিদ বলেন, পুলিশকে ভয় পাচ্ছে আক্রান্তরাই। গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা অভিযুক্তদের। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই বহরমপুর সফর ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। রাজনৈতিক  উদ্দ্যেশ্যের অভিযোগ তুলে  তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, মুর্শিদাবাদে হিংসাত্মক কোন ঘটনাই ঘটেনি। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে দিল্লি থেকে রাজনৈতিক উদ্যেশ্য প্রণোদিত  হয়ে বিজেপির দারা প্রভাবিত হয়ে  নোংরা রাজনীতি করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় করতে আসছে এটা অত্যান্ত দূর্ভাগ্যজনক ।  আমরা মনে করি এটা অত্যান্ত আপত্তিকর।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বহরমপুরে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অবশ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আরও সতর্ক, সজাগ হওয়ার আবেদন করেন।