মধ্যবঙ্গ ডেস্কঃ শুক্রবার রঙ, আবিরে মেতেছেন রাজ্যের মানুষ। মেতেছে মুর্শিদাবাদও। কিন্তু মুর্শিদাবাদে রঙের উৎসব চলবে শনিবারও। রাজ্যে হোলি একদিন হলেও মুর্শিদাবাদে দু’দিন ধরে পালিত হয় হোলি। নবাবী আমল থেকেই দুই দিন ধরে হোলি বা দোল উৎসব পালনের রীতি রয়েছে মুর্শিদাবাদে। রঙের উৎসবে নিজেদের বৈভব প্রদর্শন করতেন জমিদার-রাজারা। অনেকেই মনে করেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালুর পরে আরো বাড়ে হোলির জাঁক জমক।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত রাজা ও জমিদারদের অনেকেই বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ছিলেন। বৈষ্ণবদের কাছে হোলি একটি বড় উৎসব।
হোলির আগের দিন পালিত হতো ‘চাঁচোল উৎসব’ । যা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত । হতো শোভাযাত্রা, পবিত্রস্নান।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, হোলির দিনেও জমিদার,রাজারা দলবল নিয়ে রঙ খেলতেন। সাথে থাকত লাঠিয়াল, পাইক , বরকন্দাজ। হোলিতে প্রায়ই রাস্তায় সংঘর্ষ বাঁধত জমিদার, রাজাদের অনুগামীদের মধ্যে।
এই সংঘর্ষ রুখতেই বিংশ শতকের প্রথম দিকে ব্রিটিশ প্রিভি কাউন্সিল একটি অর্ডার পাস করে। সেই আদেশনামাতে হোলি খেলার দুটো দিন দুই পক্ষের জন্য বরাদ্দ হয়। ব্রিটশ নির্দেশনামায় বলা হয়, খাগড়া-সৈদাবাদ এলাকার মহারাজা, জমিদাররা একদিন হোলি খেলবেন এবং গোরাবাজার ( সেই সময় বহরমপুর নামেই পরিচিত) এলাকার জমিদার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পরের দিন হোলি খেলবেন। রাজাজমিদারদের দিন গেলেও হোলি এখনও দুই দিন ধরেই খেলাহয় মুর্শিদাবাদে।