মুর্শিদাবাদে চেনা মুখে ভরসা মমতার

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ০৫ মার্চঃ একুশে নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় চেনা মুখেই ভরসা রাখলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুর অবধি টানটান উত্তেজনা ছিল জেলার নেতাদের। চোখ ছিল টিভির পর্দায়। প্রার্থীদের নাম শুনে হাঁফ ছাড়লেন অনেকে। দীর্ঘশ্বাস চেপে প্রার্থীদের বুকে জড়িয়েও নিলেন অনেক নেতাই। তবে, প্রার্থী তালিকায় নজর বোলাতেই স্পষ্ট। কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে ঝুঁকি নিতে নারাজ তৃণমূল।

জেলায় প্রার্থী হিসেবে চমক রয়েছে তিন কেন্দ্রে। ফারাক্কায় প্রার্থী করা হয়েছে উদ্যোগপতি মনিরুল ইসলামকে, বড়ঞা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন স্কুল শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ সাহা; আর সব থেকে বড় চমক রয়েছে ভগবানগোলা কেন্দ্রে। ভগবানগোলায় প্রার্থী করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে। বাকি কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক, স্থানীয় নেতা, প্রভাবশালী নেতাদের উপরেই ভরসা রাখছে দল। মুর্শিদাবাদ থেকে  প্রার্থী করা হয় নি কোন ক্রীড়া, বিনোদন জগৎ’এর তারকাদের।

সামসেরগঞ্জে প্রত্যাশামতোই প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম, সুতিতে প্রার্থী হয়েছেন ইমানি বিশ্বাস। রুঘনাথগঞ্জ এবং সাগরদিঘি  বিধানসভা থেকে দাঁড়াচ্ছেন ২০১৬’র ভোটে জেতা দুই বিধায়ক আখরুজ্জামান এবং সুব্রত সাহাই । লালগোলায় প্রার্থী হচ্ছেন দলের পুরোনো মুখ মহম্মদ আলি।

দীর্ঘদিন ধরে রানিনগর বিধানসভা এলাকাকে পাখির চোখ করেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড করছিলেন সৌমিক হোসেন। তাকেও দাঁড় করানো হয়েছে ওই আসন থেকে।

কর্মীদের এক অংশের ক্ষোভ কে গুরুত্ব না দিয়ে, মুর্শিদাবাদ থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে শাওনী সিংহ রায়কে। নবগ্রাম এবং খড়গ্রাম থেকে ফের দাঁড়াচ্ছেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল ও আশিস মার্জিত।

লোকসভা ভোটে হারের পর কান্দী থেকেই ফের দাঁড়াচ্ছেন অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড।

আর  বাড়ি লাগোয়া কেন্দ্র ভরতপুরে প্রার্থী হয়েছেন হুমায়ুন কবির। রেজিনগরে ফের প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী। বেলডাঙ্গায় এবার প্রার্থী হচ্ছেন হাসানুজ্জামান সেখ।

বহরমপুর কেন্দ্রে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ই প্রার্থী, হরিহরপাড়া থেকে দাঁড়াচ্ছেন নিয়ামত সেখ। ডোমকলে দাঁড়াচ্ছেন পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম। নওদা আর হরহরিপাড়া থেকে ফের দাঁড়াচ্ছেন দুই বিধায়ক সাহিনা মমতাজ বেগম এবং আব্দু রাজ্জাক।

প্রার্থীবদল চেয়ে সাগরদিঘি, জলঙ্গী, মুর্শিদাবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন কর্মীরা। তবে সেই ক্ষোভকে কার্যত গুরুত্ব দিল না দল।

 

প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক শিল্প উদ্যোগী, অনেকেই দলের বিশ্বস্ত মুখ। শুভেন্দু অধীকারীর  দল বদলের পর, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রার্থী ঠিক করাই  বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দলের নেতাদের কাছে।

সেই চ্যালেঞ্জ পাড় করে চওড়া হাসি ফুটেছে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের মুখে।