মুর্শিদাবাদে করোনা পরিস্থিতি কেমন ? কী বললেন CMOH মুর্শিদাবাদ

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মুর্শিদাবাদ জেলায় এই মূহূর্তে কোন অক্সিজেন ঘাটতি নেই। জানাচ্ছেন সিএমওএইচ মুর্শিদাবাদ ডাঃ প্রশান্ত বিশ্বাস।

দেখে নিন কোভিড কী পরামর্শ দিচ্ছেন ডাঃ প্রশান্ত বিশ্বাসঃ

জেলায় কোভিড পরিস্থিতিঃ   জেলায় কোভিডের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ প্রায় দুই সপ্তাহজুড়ে একই জায়গায় আছে । তবে নিশ্চিন্তে থাকার কোন অবস্থা নেই। প্রতিদিন জেলায় প্রায় চারশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

সতর্কতা মেনে চলুনঃ কোভিড থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে   স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।  ভিড় এড়িয়ে চলুন। মাস্ক পরুন। বারেবারে সাবান নিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এটাই হচ্ছে কোভিড প্রিভেনশনের মূল কথা।

কোভিডের প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে পারলে নিজেকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেট করে নিতে হবে। বাড়িতে বিশ্রামে থাকবেন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলবেন। পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। প্রয়োজনে ল্যাব  টেস্ট করিয়ে নেবেন।বহু  সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই টেস্ট হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিকাঠামোঃ

সরকারি দু’টো হাসপাতাল চালু আছে যেগুলি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল । একটি মাতৃতসদনের ক্যাম্পাস অন্যটি লন্ডন মিশন হাসপাতাল। এছাড়াও বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। কোভিড ওয়ার্ড আছে।

ডোমকল এবং জঙ্গীপুরে কোভিডের জন্য বেড রাখা হয়েছে। আরো বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

কখন হাসপাতালে যাবেন?

আমাদের হাসপাতালে এখনও বেডের ঘাটতি নেই। সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে আসতেই পারেন।  কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কতোগুলো মাপকাঠি আছে । খুব জ্বর থাকে ( ১০৪ বা তার বেশি), যদি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় ( ৯৫/৯৪ এর কম), আগে থেকে ফুসফুসের কোন সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ৮৮ বা  ৯২ এর কম অক্সিজেন মাত্রা  হয়ে যায়। তখন সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার।

অনেকে যদি মনে করেন কোভিড হয়েছে , গায়ে ব্যাথা মাথা ঝিমঝিম করছে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাবো; এটা করবেন না।

নিতান্তই যাদের অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে  , খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এধরণের মানুষকেই হাসপাতালে ভর্তি করা গেলে অহেতুক বেড আবদ্ধ হয়ে থাকে না।

সেজন্য হেল্পলাইন আছে, মেডিক্যাল কলেজের টেলিমেডিসিন, হেল্পলাইন আছে সেগুলর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

গ্রামীন এলাকার মানুষ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে, ভর্তি করার অবস্থা হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।  সেক্ষেত্রে আমাদের বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে।

ভ্যাক্সিনেশনঃ

এখনও পর্যন্ত  সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে সাপ্লাই’এর ঘাটতি আছে। সেজন্য প্রথম ডোজ দেওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

জেলায় অক্সিজেনের অবস্থাঃ

আমাদের জেলায় অক্সিজেনের অপ্রতুলতা নেই। দৈনন্দিন চাহিদার ক্ষেত্রে আপাতত কোন সমস্যা হচ্ছে না।

(সিএমওএইচ মুর্শিদাবাদ ডাঃ প্রশান্ত বিশ্বাসের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লিখিত)

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরো।