প্রিয়ঙ্কা দেব বিশ্বাস : ২৬শে অক্টোবর – অনিল ভার্মা ডাকাবুকো আইএএস অফিসার। রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য সচিব। দুদিনের মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে পাঁচটি হাসপাতাল জুড়ে কার্যত চিরুণী তল্লাশী চালালেন। তার সঙ্গে ছিল টিম স্বাস্থ্য ভবন। সময় যত এগিয়েছে জেলায় সরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের রক্তচাপ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বুধবার সকালে শুরু করেছিলেন জঙ্গীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ করলেন বহরমপুর সার্কিট হাউসে জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের সাথে বৈঠক করে। স্বাস্থ্য সচিবের দুদিনের জেলাজুড়ে কর্মসূচীতে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরে কিনা তার দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। তবে এই সফর যে জেলার সরকারী স্বাস্থ্য পরিসেবায় ঝাঁকুনি গিয়েছে তা স্বাস্থ্য কর্তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই বোঝা যায়।
বৃহস্পতিবার তখন ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় সকাল সারে নটা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষার অফিসের সামনে দাঁড়ালো স্বাস্থ্য সচিবের কনভয়। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে স্বাস্থ্য কর্তাদের সাথে হাজির প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। তার পর ঘন্টা দুয়েকের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠক শেষে সোজা পৌঁছে গেলেন মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে । আধঘন্টারও বেশি সময় ধরে নথিপত্র তদন্ত করে চক্ষু চরকগাছ স্বাস্থ্য কর্তাদের । প্রশাসনিক সুত্রে জানা গিয়েছে শাস্তির মুখে ব্লাড ব্যঙ্কের সাথে যুক্ত দ্বায়িত্ব প্রাপ্তরা। এদিকে স্বাস্থ্য কর্তারা যখন মেডিক্যাল কলেজে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তখন সাধারণ মানুষ পরিষেবা নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য সচিবের কনভয় আচমকাই পৌছে যায় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। ওয়ার্ডজুড়ে চিকিৎসা অবহেলার নানান নজীর । ক্ষুব্দ স্বাস্থ্য সচিব দেড় ঘন্টার বেশি সময় ধরে লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল ঘুরে দেখে ফিরে আসেন বহরমপুরে। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শথপতি জানিয়েছেন সরকারি রুটিন পরিদর্শনের জন্য তারা এসেছেন ।
জেলায় প্রধান স্বাস্থ্য সচিব সহ টীম স্বাস্থ্য ভবনের ঝটিকা সফরে হাসপাতাল গুলিতে ঝাড়পোঁছ সাঁফসুতরো হয়েছে। চিকিৎসা পরিসেবার সাথে যুক্তরা সজাগ হয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের একটাই আশঙ্কা দুএকদিন পর আবার যে কার সেই পুরনো অবস্থা হয়ে যাবে না তো মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালগুলির ।