মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জমজমাট জলাভূমির রাজনীতি

Published By: Madhyabanga News | Published On:

শহরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই জলাভূমি ভরাট নিয়ে জমজমাট রাজনীতি। বহরমপুর শহরে একের পর পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছেই। পুকুর ভরাট নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে দিন কয়েক আগে।

শুক্রবার সকাল থেকেই বহরমপুর শহর জুড়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু হতেই আবারও শুরু রাজনৈতিক দড়িটানাটানি । প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের পুষ্করিণী পুনরুদ্ধারের এই উদ্যোগ কি স্রেফ আই-ওয়াশ ? বিরোধীদের অভিযোগ,আগামী সপ্তাহে বহরমপুর সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় Mamata Banerjee Chief Minister of West Bengal।  তার আগে জনসাধারনের দৃষ্টি ঘোরাতেই এই প্রশাসনিক তৎপরতা।

বহরমপুরের বিধায়ক, বিজেপি নেতা সুব্রত মৈত্র Subrata Maitra MLA Berhampore BJP  বলেন, সাত আট বছর ধরেই পুকুর বোজানো হচ্ছে। সরকারি মদত না থাকলে পুকুর বোজানো সম্ভব নয়। বহরমপুর পৌরসভা, সরকার সকলে মিলে পুকুর বোজানোর সাথে যুক্ত।
সুব্রতর  দাবি, ভোটের আগেও তিরিশ পঁয়ত্রিশটা পুকুর বোজানো হয়েছে। ভোটের পরেও পুকুর ভরাট চলছে। প্রশাসনকে জানাতে গেলে বলছে জমির চরিত্র বদলে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন যাতে তার কাছে কোন অভিযোগ না যায় সেজন্যই প্রশাসনের পদক্ষেপ। এভাবে চলতে পারে না।

কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসও Jayanta Das Congress  জলাভূমি ভরাট নিয়ে সরকারের দিকে তোপ দেগেছেন। জয়ন্ত বলেন, ” জমির হাঙররা শাসক দলে ভিড়ে, উৎকোচ দিয়ে জলাভূমি উধাও করে দিচ্ছে। প্রশাসনের নড়াচড়া নেতাহ আইওয়াশ”।
জয়ন্ত বলেন, জলাভূমি ভরাট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রশাসন দেখেনি এটা হাস্যকর। পৌরভোটের আগে নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে।

যদিও রাজনৈতিক বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বহরমপুর পৌরসভার Berhampore Municipality  মুখ্যউপদেষ্টা  নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় Narugopal Mukhopadhay । নাড়ুগোপালের দাবি, যথেষ্ট সক্রিয় প্রশাসন। “বেশকিছু ওয়ার্ডে জলাভূমিগুলি বহরমপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সংস্কার করা হচ্ছে। বহরমপুরের পুকুর ভরাটের জনক কংগ্রেসের ল্যান্ড মাফিয়ারা”।
২০০৯ থেকে ২০১৩ অবধি পুকুর ভরাটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাড়ুর দাবি তৃণমূল সরকারই পুকুর ভরাট আটকেছে। কংগ্রেসের অধীনে থাকার সময় পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়।

পুকুর নিয়ে তরজায় জমে উঠেছে জেলার রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জলাভূমি প্রসঙ্গ উঠে আসেকিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তবে রাজনীতির দড়িটানাটানিতে যেন জলাভূমি হারিয়ে না যায় সেটাই চাইছেন শহরের মানুষ।