মুখোমুখি নেত্রীকে এড়ালেন সভাধিপতি ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ২১ জানুয়ারিঃ জল্পনার চলছিলই, এবার কলকাতায় মুখোমুখি দলীয় বৈঠিক এড়ালেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মধু।
তিনি নাকি অসুস্থ। সেজন্য বাকি নেতারা যখন কলকাতায়, মোশারফ হোসেন সকাল থেকেই থাকলেন গৃহবন্দী।
যদিও বুধবার রাত্রি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সুস্থ ভাবেই অনুগামীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক সারেন সভাধিপতি।
তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কী এই অসুস্থতা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনাসামনি এড়িয়ে চলার কৌশল মাত্র। নাকি এর পিছনে রয়েছে নতুন কোন রাজনৈতিক সমীকরণের পটভূমি।
যদিও বাড়িতে বসেই তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলের সভায় । দিনভর এড়িয়ে চললেন সংবাদ মাধ্যম । দেখা করেন নি দলীয় অনুগামীদের সাথেও।
বাকি নেতারা প্রায় সবাই যদিও রইলেন কলকাতার সভায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল সভায় সভাধিপতি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গিয়ে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেন দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খানকেই।
কয়েকদিন ধরেই জেলা তৃণমূলের অন্দরে চাপা উত্তেজনা ছিল এই সভা ঘিরে।
কয়েক মাস ধরেই গোষ্ঠী কোন্দলে নাজেহাল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। গোষ্ঠী কোন্দলের গুঁতোগুঁতি ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই লাগাম ছাড়া হচ্ছে । আজ রেজিনগর তো কাল রানিনগর, কাল বেলডাঙ্গা তো পরশু জলঙ্গি। শাসক দলের চাপানউতোর চলছেই । জেলা পরিষদের পরিচালকদের সঙ্গে জেলা তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রকাশ্যে লড়াই যেন ওপেন সিক্রেট। কোঅরডিনেটরদের মনোমালিন্যও নজর এরাচ্ছে না। মাঝেই মাঝেই রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে দলীয় কোন্দলের,গোপনে টিম পিকেও সক্রিয় কোন্দল মেটানোর জন্য । কিন্তু সাময়িক থামলেও আবার বিষ ফোঁড়ার মতো উকি দিচ্ছে কোন্দল যাতে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য ও জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব । সেসব সামলাতেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী জেলার শীর্ষ স্থানীয় ৩৫ – ৪০ জন নেতৃত্ব ও জন প্রতিনিধিকে বৈঠকে ডাকেন কলকাতায়। অনেক নেতা যোগ দেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে কোনরকম কোন্দল চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। সেই জন্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয় মোশারফ হোসেনের অভিযোগও।
সূত্রের খবর, এদিন সভায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মধু ছাড়াও তৃণমূলের নেতাদের এক অংশ।
সভা থেকে জেলায় দল চালানোর জন্য গঠন করা হয় ছয় সদস্যের জেলা কোর কমিটিও। কোর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন জঙ্গীপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। কমিটির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। আবু তাহের’কে কড়া বার্তা দিতেই এই কমিটি বলে মত তৃণমূলের এক অংশের ।
তবে এই সভা কার্যকরীতা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ । বেশ কয়েক মাস ধরেই বেসুরে গাইছেন মোশারফ হোসেন।
ভার্চুয়ালে সভায় যোগ দিয়ে সুরে ফিরলেন বলেও দাবি করছেন তৃণমূল কংগ্রসের এক অংশ। এদিনের সভায় মধুর ভূমিকা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। সরাসরি যোগ না দিয়ে তিনি ইচ্ছে করেই উসকে দিলেন জল্পনা ? থাকছে প্রশ্ন ।
রাজনৈতিক মহলে অনুমান, মোশারফ হোসেন চুড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরো কিছুটা জল মেপে নিচ্ছেন।