নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ মালদহে বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক সভায় কল্পতরু হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুই জেলার বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকার মানুষদের জন্য নানান দাবি দাওয়া নিয়ে দলনেত্রীর কাছে আব্দার করেন। তাঁদের কারও আব্দার রাখলেন কাউকে আব্দার না রাখতে পারার কারণ বুঝিয়ে দিলেন।
এদিন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান সেখানে একটি ফায়ার ব্রিগেড ও বাসস্ট্যান্ড করার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথা শুনে ওই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন জঙ্গিপুরে এক কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি হবে বাসস্ট্যান্ড। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সাংসদের দাবী মেনে জঙ্গিপুরে ফায়ার ব্রিগেড তৈরি হচ্ছে বলেও জানান। একইভাবে চাঁচলের বাসস্ট্যান্ড করারও অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম বলেন, “ রেজিনগর বিধানসভার একটি এলাকায় চার হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে একটি জমি থেকে জল বেড়োয় না। ৩৫ বছর আগে তৈরি আড়াই কিলোমিটার একটি ক্যানেল সংস্কার হয় নি বহুকাল। ফলে একটি চাষ হয়। সেখানে একটি স্লুইস গেট তৈরি হলে তিনটে ফসল চাষ হবে।” মুখ্যমন্ত্রী শোনামাত্র তা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। গত দুবছর ধরে আসবাবের অভাবে ছ’টি আদিবাসী হোস্টেল চালু হয় নি বলে কর্মাধ্যক্ষ ভারতী হাঁসদা অভিযোগ করেন । সে কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এক মাসের মধ্যে তা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পরিষদের সহ সভাপতি ঝর্ণা দাস তাঁর জঙ্গিপুর এলাকায় অ্যাথলেটিক্সদের জন্য একটি জিমনাসিয়াম করার আব্দার করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ আপনি আমাদের অরুপ বিশ্বাসের কাছে আবেদন পাঠান।” ঝর্ণা অভিযোগ করেন উদ্বোধনের পরেও রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। সেই প্রসঙ্গে ঠিকাদারদের হুঁশিয়ারী দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ কোনও ঠিকাদার এই টাকায় এই কাজ করব না বললে সরকারের কোনও কাজ ওই ধরনের ঠিকাদারকে দেবে না। প্রয়োজনে একশো দিনের লোকেদের দিয়ে করাও।” এছাড়াও বিধায়ক আমিনুল ইসলাম, অপূর্ব সরকারদের দাবিও মন দিয়ে শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ইদ্রিস আলীকে ঠাট্টার ছলে মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগানোর কথাও বলেন তৃণমূলের দলনেত্রী।