মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ “কোন মেন্টাল ক্র্যাক তাকে করা হয় নি। নিজেকে বাঁচানোর জন্য মিডিয়ার সামনে এসব বলছে সুশান্ত”, বহরমপুরে এসে বললেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী। এর আগে প্রিজন ভ্যান থেকেই সুতপার মা ও বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল সুতপা খুনে ধৃত যুবক সুশান্ত চৌধুরী। খুনের দায় স্বীকার করেই সুশান্ত বলেছিল, “মেয়ের মা , বাবা মানসিক ভাবে ক্র্যাক করেছিল। আমি ওকে মেরেছি। হ্যাঁ আমি ওকে খুন করেছি, আইন যা আমাকে সাজা দেবে আমি মানতে রাজি আছি”। সুতপার বাবা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাধীন চৌধুরীর দাবি, রেহাই পেতেই মানসিক চাপের গল্প ফাঁদছে ওই যুবক।
২ রা মে বহরমপুরে গোরাবাজার এলাকায় শহীদ সূর্য সেন রোডে প্রকাশ্যে ভর সন্ধ্যায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। এই খুনের ঘটনার পরেই সামশেরগঞ্জ থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার বহরমপুরে এসে পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জির সাথে দেখা করেন তিনি। যুবকের শাস্তি নিশ্চিত করতে কথাও বলেন চেয়ারম্যানের সাথে।
মেয়ের খুনির শাস্তির জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে সমস্ত রকম সাহায্য সহযোগিতা প্রার্থনা করেন সুতপার বাবা । এছাড়াও দোষীর ফাঁসির দাবি করেছেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী ।
বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ু গোপাল মুখার্জী সুতপার খুনি যাতে যথোপযুক্ত শাস্তি পায় তার জন্য সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন । নাড়ুগোপাল মুখার্জি বলেন, “ আমরা চাইবো ওই যুবকের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়”। এদিন স্বাধীন চৌধুরী বলেন, “আমার মেয়ে তার থেকে মুক্তি চাইছিল। ছেলেটির ব্যবহার আচরণ ভালো লাগত না বলেই সে সম্পর্ক ছিন্ন করে”।