মাইগ্রেনের আড়ালে মানসিক সমস্যা ? ডিপ্রেশন ? কী বলছেন চিকিৎসকরা ? Mixed Tension Migraine

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মাথাব্যাথা বড় বালাই, মাথা ব্যাথা মানে কি শুধুই মাইগ্রেন নাকি মাইগ্রেনের সাথে যুক্ত থাকে ‘মিক্সড হেডেক’ ?    ডিপ্রেশন, নার্ভাসনেস, অ্যাংজাইটি, টেনশন বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা? সঠিক চিকিৎসা কোন পথে পরামর্শ দিলেন স্নায়ু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী ও ডাঃ অরুনিমা চট্টোপাধ্যায়। কথা বললেন গার্গী চৌধুরী।

প্রশ্নঃ   মাথাব্যাথার একটি অন্যতম সমস্যা মাইগ্রেন MIGRAINE- লক্ষণ কী ?
উত্তরঃ মাইগ্রেনের ব্যাথা  বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোদ্দুর গরমে হাঁটাচলা করলে   বা বাস জার্নি করলে, গরম ভ্যাপসা পরিবেশের মধ্যে বেশ কিছুক্ষন থাকলে, চোখে সূর্যের আলো পড়লে হয়।   বমি বমি ভাব আসে, কারো কারো ক্ষেত্রে ৩-৪ দিন এই ব্যাথা স্থায়ী হয়। এটার কিন্তু ভালো চিকিৎসা আছে।

প্রশ্নঃ সাধারণত মাথাব্যাথার কারণ কী ?
উত্তরঃ গবেষণায় দেখা গেছে মাথা ব্যাথার কমন কারণ হল ‘মিক্সড হেডেক’ Mix headache। যে ব্যাক্তি মাইগ্রেনে ভুগছেন তিনি হয়তো জানেনও না মাইগ্রেনের সাথে আরও কিছু মানসিক সমস্যা মিলেমিশে রয়েছে। সঠিক ডায়াগনেসিসের মাধ্যমে যেগুলি বেরিয়ে আসে।

প্রশ্নঃ মাইগ্রেন তো আছেই মাথাব্যাথার সাথে এই ‘মিক্সড হেডেক’ বা মানসিক সমস্যার কী  সম্পর্ক?
উত্তরঃ যারা মাথা ব্যাথা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন সেটার মধ্যে বিশুদ্ধ মাইগ্রেন খুব কম জনেরই থাকে। তার সাথে টেনশন হেডেক, ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটিও অতপ্রত ভাবে যুক্ত। রোগীকে যখন আমরা প্রশ্ন করি তখন হু হু করে একে একে ডিপ্রেশন, বাইপলার ডিপ্রেশন, টেনশনের মত লক্ষন গুলোও বেড়িয়ে আশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে । মাথাব্যাথার কারনের মধ্যে মাইগ্রেনের পাশাপাশি ডিপ্রেশনের লক্ষন দেখা যায় সেক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা কিন্তু করতেই হবে, এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি অসুখ। ডিপ্রেশনের চিকিৎসা না করলে ডিপ্রেশনের মধ্যে যে টেনশন স্ট্রেস থাকে সেটা মাইগ্রেন কে ভালো হতে দেয়না।


প্রশ্নঃ টেনশন হেডেক থেকে কিভাবে মাথাব্যাথা হয়?

উত্তরঃ অনেকেই ছোট ছোট ব্যাপারে ভীষণ টেনশন করেন, ঘাবড়ে যান । সেই নার্ভাসনেস থেকে মাথাব্যাথা হয়, নার্ভাসনেস থেকে মাসল গুলো শক্ত হয়ে যায় এবং তার থেকেও মাথা ব্যাথা হয়।

প্রশ্নঃ মাইগ্রেনের ট্রিটমেন্ট কতদিন চালাতে হয়?
উত্তরঃ মাইগ্রেন যদি মাসে চারবারের বেশি হয় তাহলে কিন্তু প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে, যেগুলো শুধুমাত্র ব্যাথার ওষুধ নয় সেগুলো ভেতর থেকে মাইগ্রেনের সম্ভাবনাকে কমানোর ওষুধ। আর যেদিন মাইগ্রেনের অ্যাটাকটা হয় সেটা কমানোর জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয় যেগুলো কিন্তু নিরাপদ, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ২-৩ মাস চিকিৎসার পর কেউ চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে বলেনা কারণ মাইগ্রেনের ট্রিটমেন্ট দীর্ঘমেয়াদি।