নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনেই শীতের মরশুম, আখের গুড়ের চাহিদা মাথায় রেখেই গুঁড় তৈরির ব্যাস্ততা ফারাক্কার অর্জুনপুরে। আখ চাষ ও গুঁড় তৈরি দুটোকে কেন্দ্র করেই এলাকার বহু মানুষের রুটি রুজি চলে। প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করেন চাষিরা। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজের সাথে যুক্ত এলাকার বহু আখ চাষি। আবার আখের রস দিয়ে গুঁড় তৈরি করে বিক্রি করেন এলাকার অনেক গুঁড় ব্যাবসায়ী। কিন্তু টানা কয়েক বছর ধরে লাভের লাভ কিছুই পাচ্ছেন না আখচাষি থেকে আখের গুঁড় ব্যাবসায়িরা।
সারা বছর আখ চাষ করে শীতের সময় জোরকদমে শুরু হয় গুঁড় তৈরির কাজ। আখ কেটে খোলায় এনে প্রথমে বীজের জন্য মাথা কেটে রাখা হয়। বাকি অংশ পরিষ্কার করে মেশিন দিয়ে রস সংগ্রহ করা হয়। কড়াইয়ে সেই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় গুঁড়। শীতের মরশুমে আখের গুঁড় বাজারজাত করতে এখন গুঁড় তৈরির ব্যাস্ততা অর্জুনপুরে। কিন্তু লাভের গুঁড় যে খেয়ে যাচ্ছে পিঁপড়েই। এক বিঘে জমিতে ৪০ মন আখ চাষ হয় খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা। আখচাষি সুদীপ্ত দাস বলছেন এবছর অতিবৃষ্টির কারনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আখ চাষে। বন্যায় ৪ থেকে ৫ মাস জমিতে জল জমে থাকায় নষ্ট হয়েছে ফলন। আখের গুনগত মান ভালো না হওয়ায়, ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আখ বিক্রি করে উঠছে না লাভের টাকা।
অন্যদিকে গুঁড় তৈরী করে বিক্রিই যাদের একমাত্র জীবিকা তারাও দুরবস্থার মধ্যে। পাইকারি দামে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় আখের গুঁড়। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ টন গুঁড় তৈরি করেন এই ব্যাবসায়ি। কিন্তু টানা কয়েকবছর ধরেই ব্যাবসায় ক্ষতি দেখছেন আনারুল সেখ। একদিকে জমিতে আখের ফলন কম আবার গুঁড় তৈরি থেকে কারিগরের খরচ পেছনে যা খরচ হচ্ছে গুঁড় বিক্রিতে একদমই লাভ নেই।
অর্জুনপুরের এই গুঁড় অর্জুনপুর বাজার সহ ফারাক্কা, জঙ্গিপুর, ওমরপুর, কালিয়াচক বিভিন্ন জায়গায় যায় বিক্রির জন্য। লাভের আশায় থাকলেও বছরের পর বছর আখচাসি থেকে গুঁড় ব্যাবসায়িদের অর্থনৈতিক অবস্থা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে তারা।