মন্ত্রী সুব্রত সাহার উপর হামলার ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় স্তরের এই কমিটি মন্ত্রীর উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের তদন্ত করবে। বুধবার সন্ধেয় বড়ঞার সৈয়দ পাড়ায় মন্ত্রী সুব্রত সাহার Minister Subrata Saha উপর হামলার ঘটনা ঘটে । হামলা বিক্ষোভের অভিযোগ ওঠে খোদ তৃণমুল কংগ্রেসের TMC স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে । ভাঙচুর করা হয় মন্ত্রীর গাড়িও। ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল ।
বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি TMC Burwan Block President গোলাম মুর্শেদ জর্জ এবং যুব কংগ্রেস সভাপতির দিকে হামলার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা MLA Burwan Jiban Krishna Saha । ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে থানাতে দায়ের হয়েছে অভিযোগও। মন্ত্রী সুব্রত সাহার উপর হামলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিপ্রশেখর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হুমায়ুন কবির ওরফে সৈয়দ রাজু মির্জা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
তবে দলীয় কোন্দল সামনে আসায় দলের কমিটি গড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে পুর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে দল। এই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কান্দির তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম সরকার ( বাপি সরকার), ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির ও বহরমপু ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আইজুদ্দিন সেখ।
বড়ঞায় গিয়ে ঘটনার দতন্ত করবেন দলের নেতারা। আজ রাতের মধ্যেই দলকে দেবেন রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট রাজয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাবেন জেলার নেতারা।
বড়ঞায় দলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠীকে দলীয় দপ্তরে ডেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। রবিবার বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোলাম মুর্শেদ ওরফে জর্জ কে বহরমপুরে দলের জেলা অফিসে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। দুই পক্ষের সাথে কথা বলেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্ব।