মণিপুরে সীমান্তে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হল খড়গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল দাসের। শনিবার সন্ধ্যেয় মণিপুর মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছে আসাম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার সহ পাঁচ জওয়ানের । মৃত্যু হয়েছে কমান্ডিং অফিসারের স্ত্রী, পুত্রেরও। খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুর গ্রামের শ্যামল দাস আসাম রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, হামলার সময় কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠির গাড়িতেই ছিলেন শ্যামল।
কিছুদিন আগেই শ্যামল দাসের মেয়ের জন্মদিন ছিল। মেসেজ করেই মেয়েকে আশীর্বাদ করেন তিনি। শনিবার বেশ সকালে স্ত্রীর সাথে কথা হয়েছিল ফোনে । বলেছিলেন, ডিউটির কাজে বেড়োবেন । গন্তব্যে পৌঁছে ফোন করবেন । কিন্তু আর এল না সেই ফোন। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শ্যামল দাসের স্ত্রী। বলছেন, কিছুদিন ধরে দিনে একবারই ফোনে কথা হচ্ছিল। পরে ফোন করবেন বলেছিলেন শ্যামল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সন্ধেয় গ্রামে খবর আসে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে শ্যামল দাসের। আসাম রাইফেলসের দপ্তরে ফোন করা হয়েছিল। জানা যায়, খবর সঠিক। শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার, গ্রাম। রবিবার সকালে জানানো হয়, দুপুরে দেহ রওনা দেবে মণিপুর থেকে।
গ্রামের ছেলেকে শেষদেখা দেখতে অপেক্ষা করছেন কীর্তিপুরের বাসিন্দারা।