মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ রানিনগরের Raninagar তৃণমূল কংগ্রেসের TMC নেত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বহরমপুরের সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury । বুধবার ওই চিঠিতে অধীর লেখেন যে খবরের কাগজের মাধ্যমে তিনি রানিনগরের ঘটনা জানতে পেরেছে। অধীরের দাবি, সংবাদ পত্রে তিনি দেখেছেন রানিনগরের তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে । ঘটনায় বিস্মিত তিনি। অধীর চৌধুরীর দাবি, এই ঘটনায় রাজ্যে নারী নিরাপত্তা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এই রাজ্যে রক্ষকই ভক্ষক, এটা আরো বিপদের । শাসক দলের নেতারা এই রকম ঘৃণ্য কাজের সাথে যুক্ত হলে রাজ্যের মহিলারা নিরাপত্তাহীনতার ভুগবেন। অধীর চৌধুরীর আর্জি, নিররপেক্ষ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ দিন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে নির্যাতিতা ন্যায় বিচার পান এবং দোষী ব্যক্তি শাস্তি হয়।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই মহিলা গত ২৬ তারিখ রানিনগর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এদিন সকালে মহিলা থানায় এসে তিনি তা প্রত্যাহারের ইচ্ছে প্রকাশ করেন । এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কেন ওই মহিলা তৃণমূল নেত্রীর ভোলবদল ? এর পিছনে রয়েছে কি কোন চাপ ? কেন ওই মহিলা নেত্রী রানিনগর থানার প্রতি আস্থা হারিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়ে বহরমপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আবার তা প্রত্যাহারও করতে চাইলেন ।
সকাল থেকে কী ঘটল ?
সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রানিনগর থানার নোয়াপাড়া বর্ধনপুর গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা দেন WB58BJ5483 নম্বরের কালো স্করপিও গাড়িতে করে । সাথে ছিলেন দুই ছেলে । মাঝে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার আস্তাবল মাঠের কাছে তৃণমূল কর্মী টিংকু মণ্ডলের বাড়িতে হয় গোপন বৈঠক।
এরপর কালো স্করপিও গাড়িতেই সোজা রওনা দেন বহরমপুরের দিকে । ঠিক সকাল ৮ টা ৩৫ নাগাদ ওই মহিলা নেত্রীকে দুই ছেলেকে নিয়ে ঢুকে গেলেন মহিলা থানার ভিতরে । তার জন্য অপেক্ষারত ছিলেন মহিলা থানার ওসি । শুরু হল দফায় দফায় আলোচনা । ন’টা পাঁচ নাগাদ মহিলা থানার ওসি’র গাড়িতে ওই মহিলা নেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা । তারপর মাতৃমা’এ হয় শারীরিক পরীক্ষা । এরপরেই ফের ওই নেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরে মহিলা থানায়।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই মহিলা গত ২৬ তারিখ রানিনগর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এদিন সকালে মহিলা থানায় এসে তিনি তা প্রত্যাহারের ইচ্ছে প্রকাশ করেন ।
এদিন অধীর বলেন, এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো করছেন আর আপনার দলের নেত্রী দলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করছেন। কোথায় যাবেন রাজ্যের মানুষ ? মুখ্যমন্ত্রীকে কি দুঃখিত ? অধীরের দাবি, ওই মহিলাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে।