দেশে এ পর্যন্ত ৪০,৪৯,৩১,৭১৫টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা দেওয়া হয়েছে ৫১,০১,৫৬৭ জনকে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ১,০২,৬৯,০৯২ জন টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭৫,৪০,৬৫৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ১,৭৭,৯২,৩৯৬ জন প্রথম ডোজ এবং ১,০৩,৪৮,৫০৪ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ১৮-৪৪ বছর নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১২,৪২,৬৫,৪২৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৮.৬৪,৬০৯ জন। ৪৫-৫৯ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯,৭৪,৭৯,৬৪০ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২,৯০,৭১,৯৪৬ জন। যাঁদের বয়স ৬০-এর ওপরে তাঁদের মধ্যে ৭,২০,৮৭,২০৬ জন প্রথম ডোজ এবং ৩,১২,১২,২৩৮ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। রবিবার সকালে এই তথ্য জানানো হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৪ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৩ কোটি ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৯৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জাতীয় আরোগ্য লাভের হার ৯৭.৩১ শতাংশ। ২১ জুন থেকে সর্বজনীন টিকাকরণের নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৫৭ জন। গত ২১ দিন ধরে নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন ৫০ হাজারেরও কম। কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মিলিত প্রয়াসের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। দেশে সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা নিম্নমুখী। বর্তমানে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৬৬০ জন চিকিৎসাধীন। দেশে মোট সংক্রমিতের মাত্র ১.৩৬ শতাংশ চিকিৎসাধীন।
দেশ জুড়ে নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গতকাল ১৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ৪৪ কোটি ৩৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
একদিকে যখন নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। বর্তমানে এই হার ২.০৮ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ২.১৩ শতাংশ। গত ২৭ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের কম আর ৪১ দিন ধরে ৫ শতাংশের কম।