ভাইফোঁটা সাথে মিস্টি, শহর বহরমপুর মাতোয়ারা দুই নিয়ে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

ভাইফোঁটার আগের দিনেই উপচেপড়া ভিড় বহরমপুরের মিষ্টির দোকান গুলিতে। ক্রেতারা জানাচ্ছেন মিষ্টির দাম আগের থেকে বাড়লেও ভাইকে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি না খাওয়ালে নাকি ভাইফোঁটা সম্পন্ন হবে না। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় এদিন বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই ভাইফোঁটা “ভাইদুজ” নামেও পরিচিত। ভাইফোঁটার অন্যতম উপকরণ হলো মিষ্টি। আর শহর বহরমপুরের বিভিন্ন দোকানে মিষ্টির ডালি সাজিয়ে হাজির মিষ্টি বিক্রেতারা। বহরমপুরের বহু পুরোনো দোকান ‘আনন্দ সুইটস’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় এ বছর তাঁরা ভাইফোঁটা উপলক্ষে প্রায় ৫০ রকমের মিষ্টি তৈরী করেছেন। তাঁদের এবারের ভাইফোঁটার বিশেষ আকর্ষণ কফি রসগোল্লা ও কফি দই। পাশাপাশি ‘বিজয়ের আনন্দ’-এ বেশ জনসমাগম দেখা গেলো। ক্রেতা নীলাঞ্জনা দত্ত জানালেন ‘ভাইফোঁটা স্পেশাল’ মিষ্টি এখানে অনেক রয়েছে। তিনি আরও জানান “যাঁদের আমার মতন অনেক ভাই তাঁদের তো অনেক মিষ্টি কিনতে হয়। সব জিনিসের সাথে মিষ্টির দামও বেড়েছে। তবে এই একটা দিন নির্দ্বিধায় মিষ্টি কিনি”। বিজয়ের আনন্দের পক্ষে বৈশালী বিজয় সাহা জানাচ্ছেন, ক্রেতাদের জন্য তাঁরা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তিনি আরও জানাচ্ছেন এ বছর তাঁদের স্পেশাল মিষ্টি থাকছে রসরাজ, ছানার পোলাও, চকলেট সন্দেশ আরও অনেক কিছু। এর সাথে লালদীঘি পাড়ের ‘জয় মা কালী সুইটস’ এও বেশ উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলো এদিন। ক্রেতাদের মধ্যে একজন সোমালি গুহ জানান “সারা বছর ভাইয়ের জন্য অনেক কিছু থাকে। তবে এই দিনটায় মন খুলে ওর জন্য রান্না করি। আর বাজারের সব চেয়ে ভালো মিষ্টি গুলো ওকে উপহার দিই।”

 

বাঙালী মানেই মাছ আর মিষ্টি। আর এই ভাইফোঁটা উৎসব মিষ্টি ছাড়া যেন সম্ভবই না। মিষ্টির দোকান গুলিতে হরেক রকমের মিষ্টিকে সবথেকে বেশি টেক্কা দিচ্ছে মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া। ক্রেতারা জানাচ্ছেন ভাইয়ের পাতে ছানাবড়া না পড়লে ভাইয়ের খাওয়া নাকি অসম্পূর্ন থেকে যাবে। সব মিলিয়ে ভাইফোঁটা নিয়ে বেশ মেতে উঠেছে শহরবাসী।