মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ বিদ্রোহের শাস্তি রাতারাতি। ডানা ছেঁটে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর দুই নাম্বার ব্লক সভাপতি আজাহারউদ্দিন ওরফে সিজারের। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা কমিটির ‘ কোঅর্ডিনেটার’ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সিজারকে।
সিজারকে সরিয়ে ‘কভেনার’ করা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান সুমনকে। সহকনভেনার করা হয়েছে খাদেম ই দাস্তেগির ওরফে খাদু এবং নজরুল ইসলাম টারজেনকে। এরা তিন জনেই সিজারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের সই করা প্যাডে এদিন প্রকাশ করা হয় নতুন বিধানসভা কমিটি।
কমিটি নিয়ে কিছু জানানো হয় নি সিজারকেও। সিজারের তোপ, ” দলকে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। কমিটিতে তৃণমূলীরা নয়, জায়গা পেয়েছেন কংগ্রেসের কর্মীরা। মানুষ এর জবাব দেবে”।
যদিও কমিটি নিয়ে কিছু জানেন না বলেই জানান জেলা সভাপতি আবু তাহের খান স্বয়ং। তার অভিমত সকলে নিয়ে চলা উচিত প্রার্থী হুমায়ুনের।
হুমায়ুনের নতুন কমিটি ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলেও। হুমায়ুন অনুগামীদের দাবি, রাজ্য নেতাদের সাথে কথা বলেই ঠিক করা হয়েছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জোড়া সভা হয় ভরতপুরে। উজুনিয়া আল-আমিন মিশন ময়দানে সিজারের ডাকা সভায় এসেছিলেন ভরতপুরের দুই নেতা নূর আলম এবং সঞ্জয় সরখেলও । আর, দুই কিলোমিটার দূরে বিধানসভায় প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের সভায় ছিলেন নজরুল ইসলাম টারজেন । দুই সভা ঘিরে কার্যত, দুই ভাবে বিভক্ত ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস। দুই সভাতেই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কোঅর্ডিনেটার অশোক দাস।
সেই সভার পরিণতিই এই তালিকা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।















