বৈশাখী দাবদাহে ত্বক চর্চায় অব্যর্থ কাঁচা দুধ ।

Published By: Madhyabanga News | Published On:

রাহি মিত্রঃ বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ , ঘরে বাইরে অসহনীয় গরম আর চাঁদি ফাটা রোদ বাইরে গেলেই । কাজে-কর্মে কম হলেও বের হতে তো হবে বাইরে । রোদ চশমা ছাতা যা ই নেওয়া হোক না কেন এই চরম রোদে স্কিনে ট্যান পড়বেই । যাতে করে কালো হয়ে যাবে আমাদের প্রিয় ত্বক । পার্লারে গিয়ে কেমিক্যাল কোন পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করার চেয়ে এমন পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক কোন পদ্ধতির সাহায্যে নেওয়া বহুগুণ শ্রেয় । প্রাকৃতিক উপায়ে বেহাল ত্বকের পুনরুদ্ধারে কাঁচা দুধের একটা বড় ভুমিকা আছে । যেটা অনেকেই জানেন না । প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয় কাঁচা দুধ কে । দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে । প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ও কাঁচা দুধ ব্যবহার যেতে পারে ।

এই গরমে ত্বক পরিচর্যায় নানাভাবে কাঁচা দুধ কে ব্যবহার করা যায় ।

১) প্রাকৃতিক ক্লিনজার ; চরম রোদ আর গরমে বাইরে থেকে ফিরে নিস্তেজ হয়ে যাওয়া ত্বকে যদি কাঁচা দুধ তুলো তে ভিজিয়ে মুখে হাতে গলার ত্বকে লাগিয়ে নেওয়া যায় তবে ত্বকের নিস্তেজ ভাব কেটে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে । বেশ কয়েকবার এই রকম করে নিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে ।

২ ) কাঁচা দুধ খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে । এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে ত্বকের আদ্রতা কে ধরে রাখতে পারে । শুষ্ক ত্বকের জন্য কাঁচা দুধ খুব উপকারী ।

৩) দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকায় তা ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায়৷। মুখে ব্রণ ও ফুসকুড়ি ইত্যাদিতে যারা ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী উপাদান কাঁচা দুধ । তারা ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন । আগেই বলা হয়েছে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে দুধ খুবই কাজে আসে । দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ই এই কাজ করে ।

৪ ) দূধে থাকা হাইড্রক্সি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে ।

৫) কাঁচা দুধে ভিটামিন ডি থাকে যা ত্বককে মসৃণ টান টান করে রাখতে সাহায্য করে । ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না ।

কাঁচা দুধ ত্বকে ব্যবহারের পদ্ধতি,,,,, (১) দুধ ত্বকের সৌন্দর্য স্বাস্থ্য দুইই ধরে রাখে । তাই ত্বকের পরিচর্যায় কাঁচা দূধ ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী এবং আবশ্যিক উপাদান । কোন পাত্রে কাঁচা দুধ নিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে তা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা যেতে পারে এই গরমের দিনে সহজ চটজলদি উপায় হিসেবে ।

( ২ ) স্ক্রাবিং করতে হলে কাঁচা দুধ কে সুজির সাথে মিশিয়ে তা মুখে ঘষে ঘষে মৃত করানো যেতে পারে । এছাড়া বিটা হাইড্রক্সি কাঁচা দূধে থাকার কারণে তা মৃতকোষ দূর করনের সাহায্য করে ।

( ৩) কাঁচা দুধের সঙ্গে টকদই বেসন মিশিয়ে সাথে কাঁচা হলুদ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা ত্বকে লাগানো যেতে পারে । এটি ত্বকের প্যাক হিসেবে বেশ ভালো।

( ৪) . কাঁচা দুধ আর টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে ঠোঁটে লাগাতে হবে । মুখে লাগালে রোদের কারনে ট্যান পড়ে যাওয়া ত্বকের ট্যান দূর হয় এই মিশ্রণ ব্যবহারে । ঠোঁটে অনেক সময় কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় । এই মিশ্রণ লাগালে ঠোটের কালো দাগ ফিকে হয়ে যায় । নিয়মিত ব্যবহারে সুন্দর হয়ে ওঠে ঠোঁট । ঠোঁটের স্বাভাবিক গোলাপি রং ধীরে ধীরে ফিরে আসে ।