বেলডাঙ্গায় খুনে তৃণমূল যোগ, পুলিশকে হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ৪ ডিসেম্বরঃ বেলডাঙ্গায় খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল তৃণমূল যোগ। মৃতের বাড়ি গিয়ে পুলিশকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীর।
ঘটনায় উঠে এল হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের সাথে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের বিবাদ।
গ্রাম্য বিবাদের জেরে বেলডাঙ্গার হিজুলী গ্রামে খুন হলেন আব্দুল রশদি নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই কুপিয়ে খুন করা হয় রশিদ শেখকে। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘাটপাড়া গোষ্ঠী এবং মোড়লপাড়া গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদের পরিণতিই এই খুন। বেলডাঙ্গার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজুলী গ্রামের দখল নিয়েই চলে বিবাদ। মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রাম। বৃহস্পতিবার বেলডাঙ্গা বাইকে করে ফিরছিলেন আব্দুল রশিদ । পথে বাইক আটকে কোপানো হয় তাকে। সন্ধেয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় তার।
বিবাদমান দুই গোষ্ঠীই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে জানা যায়।
শুক্রবার সকালে আব্দুল রশিদের বাড়ি যান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, আব্দুল রশিদ ২০১২ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। ছিলেন হুমায়ুন কবীরের ঘনিষ্ট।
হুমায়ুনের অভিযোগ, বেনোজল তৃণমূলে প্রবেশ করেছে। বেনোজল যারা ঢুকেছে তারা মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
পুলিশকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন হুমায়ুন। তিনি দাবি করেন, ৭২ ঘন্টার মধ্যে খুনের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীকে এবং প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। হুমায়ুনের আরো অভিযোগ, আগে বেলডাঙ্গার পুলিশ প্রশাসন এবং বেলডাঙ্গার বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর মদতে গ্রাম ছাড়া করে রাখা হয়েছিল আব্দুল রশিদকে। পরে পুলিশ,বিধায়কের সাথে আলোচনার ফলেই গ্রামে ফেরেন তিনি। এদিন হুমায়ুনের সাফ কথা,
“ রেজিনগরের বিধায়ক এই খুনের দায় এড়াতে পারেনা। বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না”।