বুদ্ধবাবুকেও মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাকতে হতো বলে দাবি করলেন অধীর Sealdah Metro : Adhir

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব প্রতিনিধি : বহরমপুর ১১ই জুলাই- মেট্রো রেলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন রেলের সম্পর্কে আমি যেটুকু জানি আমি তো ১৮ মাস রেলের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম আমাকে তৃণমূল বলত হাঁফপ্যান্ট পড়া মন্ত্রী। সেই হাফপ্যান্ট পড়া মন্ত্রীর অভিজ্ঞতাতে আমি যেনেছি রেলের প্রটোকল অনুযায়ী একটা রাজ্যে যদি কোন রেলের প্রকল্প উদ্ধোধন করা হয় তাহলে সাধারণত সেই প্রকল্পের যিনি মন্ত্রী তার আশা দরকার। মেট্রোরেল টা একটা সময় অন্যান্য শহরেও সেটা আরবান মিনিষ্ট্রির অধীনে, পশ্চিমবঙ্গেও সেটা আরবান মিনিষ্ট্রির অধীনে থাকার কথা কারন মেট্রো রেল প্রকল্প টা শুরু হয়েছিল বাম আমল থেকে অর্থাৎ বুদ্ধবাবুর আমল থেকে। সেইটাকে জোর করে রেলের প্রকল্প করেছিল মমতা ব্যানার্জী, তাহলে ডাকলে তো বুদ্ধ বাবুকেউ ডাকতে হবে কারন তার আমলে শুরু হয়েছিল। মূল ভাবনা কিন্তু তার ছিল এই সেক্টর ফাইভে এবং শেষের দিকে আমি যখন রেলের মন্ত্রী ছিলাম শেষ যেটা ইউপিএ সরকারের আমলে রেলের বাজেট হয়েছিল সেখানে মেট্রো রেলের জন্য ১০০ কোটি টাকা আমি ব্যবস্থা করেছিলাম।
রেলের যে প্রটোকল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী আশা দরকার সেখানে স্মৃতি ইরানী রেলমন্ত্রীও না আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী না। আমার জানা নেই সে কেন হঠাত চলে আসছের তাকে কি কেউ অথরাইজ করে দিয়েছে আমার জানা নেই। নিশ্চয় একটা মন্ত্রী ক্যাবিনেট কে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে কিন্তু মানানসই হতো যদি রেলের বা আরবানের তরফ থেকে তারা আসতো। কারন এটার সাথে এই দুটো মন্ত্রক জড়িত। রেলের প্রটোকল হলে রেলের যেখানে প্রজেক্ট সেই এলাকার স্থানীয় সাংসদদের ডাকতে হয়, আমিও যেখানে যেতাম আমিও রেলের অনেক প্রকল্প উদ্ধোধন করেছি, ট্রেনের উদ্ধোধন করেছি দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর ভারতে প্রচুর । সেখানে স্থানীয় যে এমপি তাকে ডেকে নিতাম এটা হচ্ছে রেলের প্রটোকল। তাই শিয়ালদহের জন্য স্থানীয় এমপিকে ডাকা টা মাস্ট, তার মানে এটা নয় যে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে খাতির করে ডাকতে পারে, মুখ্যমন্ত্রী নাও আসতে পারে । মুখ্যমন্ত্রী তো একটা মন্ত্রীর থেকে বড় রাজ্যের ক্ষেত্রে তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকেই বা কিভাবে, আর দিদি, দিদি তো এইটা শিখিয়েছে যারা বিরোধী তাদের না ডেকে নিজে নিজে ঢোল বাজাও। আমি একটা এমপি আমি একটা প্রতিমন্ত্রীও , এখানে যে রেলের ব্রিজ আমি যখন প্রতিমন্ত্রী আমি সেগুলো শুরু করার ব্যবস্থা করেছিলাম, আজকে ১৪ মাসের মধ্যে যেটা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল চুয়াপুর পঞ্চাননতলা আরবি, বেলডাঙা আইইউবি সেগুলো টেন্ডার করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র যদি অধীর চৌধুরীর কৃতিত্ব হয়ে যায় তাই বন্ধ করে দেওয়া হল। বন্ধ করে দেওয়া হল নসিপুর আজিমগঞ্জ রেলের কানেকটিভিটি। তাই প্রটোকল অনুযায়ী স্থানীয় সাংসদকে ডাকা প্রয়োজন যেটা দিদি নিজে মানে না। দিদি এখানে প্রশাসনিক সভা করে অধীর চৌধুরী বাদ, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অধীর চৌধুরী বাদ , প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অধীর চৌধুরী বাদ , কখনও কখন মনে হয় আমি কি পাকিস্তানি নাকি দিদির চোখে। বহরমপুর শহরে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে যে প্রজাতন্ত্র দিবসে আমি দিল্লিতে প্রথম সারির চেয়ারে বসার জন্য নিমন্ত্রন পাই সেখানে নাম লেখা থাকে কোন চেয়ারে অধীর চৌধুরী বসবে , সেখানে ১৫ই আগষ্ট লালকেল্লা থেকে অধীর চৌধুরী আমন্ত্রন পাই কোন চেয়ারে অধীর চৌধুরী বসবে সেখানে নাম লেখা থাকে চেয়ারে। কিন্তু আমার পশ্চিমবঙ্গে আমার শহরে প্রজাতন্ত্র দিবসে অধীর চৌধুরী আমন্ত্রিত নয়, আমার রাজ্যে স্বাধীনতা দিবসে কলকাতাতে আধীর চৌধুরী আমন্ত্রিত নয় । থেকে থেকে মনে হয় আমি কি পাকিস্তানি নাকি দিদির চোখে, দিদি একটা কথা বলল “চ্যারিটি সুড বিগিন অ্যাট হোম” আপনি নিজে আগে ধর্ম পালন করুন তারপর লোককে ধর্ম শেখাবেন। আপনারা আর বিজেপি মোদী আর দিদি একই মুদ্রার দুটো পিঠ।