বহরমপুর শহরের জলাভূমি রক্ষার দাবিতে অনশনে শামিল হলেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। বয়সের ভার অগ্রাহ্য করে বুধবার সকাল থেকে গান্ধী মুর্তির নীচে অনশনে বসলেন প্রবীণ শিক্ষক নির্মল সরকার, শিক্ষিকা শুক্লা মন্ডলরা। অনশনে শামিল হলেন পরিবেশ কর্মী, গবেষক, জলাভূমি রক্ষার আন্দোলনের কর্মীরাও। মঞ্চে এসে কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী অভিজিৎ সরকার, সংহতি জানান ইতিহাসবিদ বিষাণ গুপ্তও।
শহরের বিশিষ্টজনেরা প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন জলাভূমি নির্বিচারে ভরাট নিয়ে। জলাভূমি ভরাট বন্ধের দাবিতে এদিন রিলে অনশন শুরু হয় জলাভূমি রক্ষা কমিটির ডাকে।
এদিন সকাল দশটায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সকালেই বিক্ষোভ মঞ্চের কাছে এসে কর্মসূচি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন বহরমপুর থানার আধিকারিকরা। যদিও প্রশাসনিক ভবনের উল্টোদিকে গান্ধীমুর্তির পাদদেশেই তারা অবস্থান করবেন বলে জানান নাগরিক সমাজের সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অনশন মঞ্চে এসে অনুরোধ জানানো হয় অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য । তবে অবস্থান, রিলে অনশন চলবে বলেই জানিয়েছে জলাভূমি রক্ষা কমিটি।
পরিবেশকর্মী কাবেরী বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা এই অনশন চালাতে অনড়।
পরিবেশকর্মীরা জানান, বহরমপুর শহরে একের পর এক পুকুর, জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হতেও, বিভিন্ন রকমের প্রতিবাদ সভা করেও কোন সমাধান হয়নি। |প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা | জলাভূমি রক্ষা কমিটির আশঙ্কা, যেভাবে জলাশয় গুলিকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে, তাতে বহরমপুর শহর খুব শীঘ্রই ভূগর্ভস্থ জলের বিরাট সংকট দেখা দেবে ।