বিজয়ার চিঠির সেই দিনগুলি- লিখলেন রাহি মিত্র
দশমীতে মায়ের বিসর্জনের পর শুরু হয়ে যাওয়া বিজয়া নিয়ে আরো একটা ছোটখাটো উৎসব কিন্তু বাঙালির চলে। একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করার মধ্যে যেন আরো একটি সুন্দর অধ্যায় বিজয়া পর্ব।
শ্রীচরণেষু মা, শুভ বিজয়ার সশ্রদ্ধ প্রণাম নিও তুমি বাবা । বাড়ি ছোটদের আমার স্নেহ আর ভালোবাসা দিও । আর বড়দের প্রণাম জানিও।
এক সময় এমনই ছিল বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধরণ দূরে থাকা আপনজনদের জন্য।
এমনই কিছু কথা সাথে হয়ত আরো দু এক লাইন বেশি লিখে বন্ধ খামে তা চলে যেত কিছু দূরে বা বেশি দূরের নিকটাত্মীয় বা আপনজনের কাছে।
ঘি রংয়ের পোস্টকার্ড বা নীল রঙের ইংল্যান্ড খামে কয়েক লাইন লেখার মধ্যে মিশে থাকতো কত না আবেগ আন্তরিকতা ভালোবাসা। দূরের আপন জন যারা তারা তো সেই বন্ধ খামে বিজয়ার ভালোবাসা পেতেন বেশ কিছুদিন পরে । হোক না পরে, তবু যে আবেগ বয়ে আনতো সেই চিঠি , যার ছত্রে ছত্রে থাকত আপনজনের ছোঁয়া । সেই ছোঁয়াতে দূরে থাকা আপনজন পেতেন স্নেহের পরশ অথবা ভালোবাসার নিবিড় রোমাঞ্চ ।
তাই হাল আমলের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ তাতে চমক থাকলেও নেই আর আপন জনের হাতের ছোঁয়া । সাদামাটা লেখা কালি দিয়ে মুখ বন্ধ খামে কত না আবেগ জড়ানো তাতে।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমায় কোথায় চলে গেল এক টুকরো ঘি রঙা পোস্টকার্ডের অথবা নীল রঙা সেই ইংল্যান্ড খামের বা দূরত্ব মেপে ডাকটিকিট সাঁটানো হলুদ খামের সেই হাপুস নয়নের অপেক্ষা।