তৃণমূল, বিজেপি , কংগ্রেস মিলে অনাস্থা ভোটে পরাজিত করল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। মঙ্গলবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল সুতির সাদিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বিজেপি’র সদস্যরা।
এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল অনাস্থার সভা। কার্যত মহাজোট গড়ে পাশ হয় অনাস্থা প্রস্তাব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। অনাস্থা রুখলে হাইকোর্টে রিট পিটশন হলেও সেই পিটশন খারিজ করে কোর্ট। অনাস্থা নিয়ে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতাদের নির্দেশ ছিল, রাজ্যের সবুজ সিগন্যাল ছাড়া হবেনা অনাস্থা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অসম্মতির মধ্যেই এদিন অনাস্থা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বও অবশ্য অনাস্থা রুখতে আলোচনা চালাচ্ছিন।
সুতি এক নম্বর ব্লকের সাদিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে জিতেছেন। বিজেপি’র চারজন এবং কংগ্রেসের একজন সদস্য রয়েছেন এই গ্রাম পঞ্চায়েতে।
২৪ শে আগস্ট পঞ্চায়েতের ১০ জন সদস্য, প্রধান আনিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন সুতি এক নম্বর ব্লকের বিডিও র কাছে। প্রস্তাবে ৭ তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য ছাড়াও সই ছিল ৪ বিজেপি সদস্য এবং ১ কংগ্রেস সদস্যের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ই সেপ্টেম্বর আস্থা ভোটের দিনক্ষণ জানানো হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কে। সেই মতো এদিন সুতি এক নম্বর ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক সহ এক্সুকিউটিভ অফিসারদের উপস্থিতিতে বিজেপি, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের ১০ জন সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন। অপর দিকে প্রধানের পক্ষে প্রধান সহ ৯ জন ভোট দেন । এদিন আস্থা ভোটে পরাজিত হন প্রধান আনিকুল ইসলাম।
বিডিও জানান, ১০ জন অনাস্থার পক্ষে ৯ জন অনাস্থার বিপক্ষে। এদিন অনাস্থা সম্পূর্ণ হয়। কোর্টের নির্দেশ মেনেই অনাস্থা হয়।
তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আনিকুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, ‘আমরাই প্রধান থাকব’। পরবর্তীতে অনাস্থা ভোটের দিনক্ষণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।