বিজেপির ভার্চুয়াল সভা ঘিরে তরজা বিরোধী মহলে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

করোনা আবহের মাঝেই ফোকাস ২১ এর দিকে। ৯ ই জুন আগামী বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করে পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতা কর্মীদের সাথে ভার্চুয়াল জনসভায়
বক্তৃতা রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুর্শিদাবাদের বুথে বুথে বিজেপির ভার্চ্যুয়াল জনসভায় অংশ নিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। ২১ শে বাংলার
সরকার গড়ার ক্ষেত্রেও আশাবাদি বিজেপি নেতৃত্ব।যদিও এই ভার্চুয়াল সভা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর তরজা-
আগামী দিনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। বিজেপির ভার্চ্যুয়াল জনসভা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়ল না বিরোধীরা। একপ্রকার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ল
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃনমূল শিবির। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃনমূল কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক দাস জানান, দুঃস্বপ্ন দেখছে ২০২১ শে ক্ষমতায় আসার বিজেপি পার্টি।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি, থালা বাজাক, ঘটি বাজাক, গামলা বাজাক, যা বাজানোর বাজাক। কিন্তু ২০১২ শে ডংকা বাজিয়ে আবার রাজ্যে তৃনমূল সরকার
আসছে। তার কটাক্ষ, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপিকে প্রোমোট করার জন্য অমিত শাহ দায়িত্ব দিয়েছেন অধীর চৌধুরীকে।
কংগ্রেস অবশ্য ডিজিট্যাল সভাকে সম্পূর্ণ দলীয় আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেই অ্যাখ্যা দিচ্ছে। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, লক ডাউনের মধ্যে
কিভাবে সংগঠনের নেতৃত্বের সাথে কথা বলবে, প্রচার করবে সম্পূর্ণ দলীয় ব্যাপার। এই বিষয়ে বক্তব্য নেই। কিন্তু এই বাংলার বুকে বিজেপিকে শক্ত জমি
দেওয়ার জন্য সুনাম অর্জন করেছেন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের সাথধরে বাংলায় এসে বাংলাকে শেষ করেছেন। বাংলায় সাম্প্রদায়িক দলের উত্থান
হলে তৃনমূল সুপ্রিমোর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।করোনা আবহের মাঝেই বলা যায় রাজনীতির ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বাংলায়। ২১ এর বিধানসভায় কোন দলের কি স্ত্র্যাটেজি থাকে-
তা নিয়ে কিন্তু রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয়েছে।