মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের বালুচরীর বাজারে বাড়াতে এবার শুরু হল শিল্পীদের ট্রেনিং। বালুচরী শাড়ির শ্রীবৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন । সেই লক্ষ্যেই শনিবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গণকরের বিজয়পুর সিল্ক খাদি সেবা সংস্থায় শনিবার সূচনা হল তাঁতিদের প্রশিক্ষণ শিবিরের।
প্রাথমিকভাবে বালুচরী শাড়ির ওপরে কাজের প্রশিক্ষণ নেবেন ২৫ জন শিল্পী । বহু মহিলাও কাঁথা স্টিচের কাজের নতুন নতুন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নেবেন। ট্রেনিং’এর সূচনা লগ্নে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে । হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের জেলা আধিকারিক দেবর্ষি রায় ও খাদি দপ্তর কর্মকর্তারা।
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে বালুচরীর উপরে কাঁথা কাজের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে বালুচরীর ঐতিহ্য, সুনাম এবং সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলা এবং কর্মসংস্থানের ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের।
দেব দেবীর মূর্তি, পৌরাণিক কাহিনীই সাধারণত ফুটিয়ে তোলা হয় বালুচরী শাড়িতে। এবার মুর্শিদাবাদ সিল্কের সাথে বালুচরীর মেলবন্ধনে জেলার নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন, ঘটনা, সংস্কৃতি, বিশেষত্বকে শাড়ির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার ভাবনা। দেওয়া হতে পারে অন্য কোন নাম, যা নতুন আঙ্গিকে আত্মপ্রকাশ করবে বাজারে।
বাইট- দেবর্ষি রায়, জেলা আধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ
বালুচরী শাড়ির ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই নতুন মোড়কে পরিবেশনের ভাবনা। শিল্পীরাও আশাবাদী।