বহরমপুরে তৃণমূল TMC কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে বহরমপুরের ২ নম্বর বানজেটিয়ার বেলতলা এলাকার এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে। ওই বাড়িতে থাকতেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বৃদ্ধা মা। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিনি। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় । মঙ্গলবার রাতে বিকট আওয়াজে বেড়িয়ে আসেন প্রতিবেশীরা।
দেখেন, বিস্ফোরণের উড়ে যায় ঘরের চাল। ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন। বৃদ্ধাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রবীর মণ্ডলের বাড়িতে একাই থাকতেন তাঁর মা ঐ বৃদ্ধা। বাড়িতে যাতায়াত ছিল বৃদ্ধার ছেলের। বৃদ্ধার নাম পদ্মরাণী মণ্ডল। প্রবীর মণ্ডল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বৃদ্ধার আত্মীয় এবং এলাকার মানুষের প্রাথমিক ধারনা, ঘরেই রাখা ছিল বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় এসে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
তবে এই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। শাওনির দাবি, বিরোধীদের পক্ষ থেকে ওখানে বোম টা রাখা হয়েছিল। তারপর এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলায় চটেছেন বিজেপি BJP নেতা গৌরীশংকর ঘোষ। গৌরীর অভিযোগ, কোথাও যে আইনের শাসন নেই তা বোঝা যাচ্ছে বহরমপুরের বিস্ফোরণে। নির্বাচনের পর থেকে একাধিকবার বিস্ফোরণ হয়েছে। তৃণমূলের প্রত্যেকটি নেতার বাড়িতে বোমা, গুলি বারুদ মজুত আছে। বাংলাতে তালিবানি শাসন চলছে, জেলায় তালিবানি শাসন চলছে। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি।
বিজেপি’র সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেস INC । কংগ্রেসের জয়ন্ত দাসের অভিযোগ, যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তিনি সমাজবিরোধী। সন্তানের রাখা বোমাতে আহত হয়েছেন মা।