বহরমপুরেই মেসে থাকত সুশান্ত! পুলিশের সাথে হেঁটে গেল সুতপার মেসে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

বহরমপুরে গোরাবাজারে ভয়ংকর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। ২ মে সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় গোরাবাজারে শহীদ সূর্য সেন রোডে গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার পুলিশি হেফাজতে থাকা সুশান্তকে নিয়ে পুনর্গঠন করল বহরমপুর থানার পুলিশ।উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী কয়েকদিন ধরে   বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার  একটি মেসেই  ছিল। পুলিশের অনুমান, হত্যার ছক কষতেই মেসে ডেরা বাঁধে  সুশান্ত।  খুনের আগের দিন, ১ মে ওই মেসে আবার আসে সুশান্ত । গোরাবাজারের ওই মেস থেকে পায়ে হেঁটেই চলা শুরু করে সুশান্ত। গোরাবাজার শিল্প মন্দির উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে মোহন মোড়ের দিকে এগোয় । মোহন মলের কাছে সুইমিং ক্লাবে ঢোকার রাস্তাত মোড়ে ওঁত পেতে ছিল ওই যুবক।

সামনেই রোডের শহিদ সূর্য সেন রোড। যে রাস্তায় মেসে থাকতেন সুতপা চৌধুরী । শহিদ সূর্য সেন রোডের সামনে একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে সুশান্ত । অপেক্ষা করতে করতে সে দেখতে পায় সুতপাকে। মোহন মল থেকে বেড়িয়ে সূর্য সেন রোডে মেসের দিকে ফিরছিল সুতপা । মুখে মাস্ক থাকায় সুশান্তকে চিনতেও পারেনি সুতপা। তাকে অনুসরণ শুরু করে সুশান্ত।

প্রায় ৪০ মিটার পায়ে হেঁটে যখন মেয়েটি তার হোস্টেলের গেটে পৌঁছায় তখন পিছন সে তাকে ডাকে সুতপাকে । সুতপা পেছন ফিরে তাকাতেই সাথে সাথে চিৎকার শুরু করে । এরপর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করে নি সুশান্ত। নির্বিচারে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে সুতপাকে। এক হাতে ছিল ছুরি, আরেক হাতে খেলনা বন্দুক। নকল বন্দুক দিয়ে ভয় দেখায় প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। হুমকি দেয় কাছে না আসার । এর পরেই পিছন ছুটে গিয়ে প্রাচীর টপকে পাশের গলিতে চলা যায় সুশান্ত। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায় জজ কোর্ট মোড়ের দিকে। পালিয়ে যেতে টোটোও ভাড়া করে সুশান্ত। ফিরে আসেন গোরাবাজারের মেসে। সেখানে রক্তমাখা টিশার্ট পাল্টে পরে নেয় অন্য জামা। এরপর ব্যাগ নিয়ে ওই একই টোটো ধরে পৌঁছে যান কান্দি বাসস্ট্যান্ডে । সেখানে তিনি টোটো ড্রাইভারকে ৫০ টাকা ভাড়াও দেয় সে।

এরপর উঠে আসে জাতীয় সড়কে। হাত থামিয়ে দাঁড় করায় গাড়ি। কালো রঙের চার চাকার গাড়ি ধরে মালদার দিকে যাচ্ছি সে।