রাহি মিত্রঃ বহরমপুরঃ ঘোর অমাবস্যায় আলোর মালা নিয়ে আসে দীপাবলি Diwali-Festival । আলোকের ঝর্ণাধারায় ধুয়ে যায় অমানিশা । এক সময় মাটির প্রদীপ থেকে মোমবাতির আলোতে ঘর দুয়ার সাজাতে মানুষ কত কিছুই না করেছে ! আর এখন তো এসে গেছে ইলেকট্রিক এর সাহায্য নিয়ে চলা নানান ধরনের ফ্যান্সি বাতির বাহার । নানান ধরনের টুনি বাল্ব China Rice Light যেগুলিকে বলা হয়ে থাকে। তবে বর্তমান দিনে বাজার মাত করেছে যে আলো , তা হল চাইনিজ ল্যাম্প বা চিনা বাতি । বাজার রীতিমতো ঝলমলে করে রেখেছে চিনা বাতির উজ্জ্বলতা বলাই যায় ।
শহর বহরমপুরের প্রাঙ্গন মার্কেট Berhampore Prangan Market এলাকা থেকে শুরু করে কাদাই বাজার এলাকা , খাগড়া মার্কেট রীতিমত ছেয়ে রয়েছে চাইনিজ বাতিতে । কি নেই তাতে , বড় বড় পিলসুজ থেকে শুরু করে পঞ্চ প্রদীপ, ধূপ প্রদীপ আকারে বাতি , লম্বা লম্বা তার দিয়ে জ্বলা নেভা বাতি , মোমবাতির আকারে বাতি আরো কত কি ।
মার্কেটে দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেল , খুব ভালো চাহিদা চিনা বাতির । ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্রেতা চাইছেন এখন চাইনিজ টুনি । তাই বাজার ভালোই । জনৈক বিক্রেতা জানালেন , এখন তো প্রায় সব ল্যাম্পই চাইনিজ ল্যাম্প বলা যায় । লোকে ভালোই কিনছেন এই বাতি । আর দীপাবলিতে তো অনেক বেশি খরিদ্দার আসছেন চাইনিজ টুনি বাল্ব কিনতে । মা-বাবার সাথে বাচ্চারাও আসছে অনেক দোকানে ভালোলাগার আলোর মালা কেনার জন্য।
মীরা দেবী পাশেই ছিলেন সাথে তাঁর বছর আটেকের ছেলেকে নিয়ে । চাইনিজ বাতি কিনতে এসেছেন । জানালেন , এই চিনা বাতির অনেক সুবিধে । একবার কিনলে যত্ন করে রাখলে অনেক বছর চলে যায় । একবার ফিটিংস করে দিলেই হল । আর কোন ঝামেলা নেই । সারাক্ষণ মোমবাতি প্রদীপের মতো বারবার নজর রাখতে হবে না। তাছাড়া এই দীপাবলিতে হাওয়া দেয় সন্ধ্যে রাত্রিতে। প্রদীপ মোমবাতি নিভে যায় সেই হাওয়াতে । বারেবারে গিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে আসতে হয় । চিনা বাতির ক্ষেত্রে সেসব ঝামেলা নেই । দেখতেও সুন্দর লাগে। ব্যবহার করাও সুবিধে ।
তবে একথাও ঠিক সাবেকি প্রথামত প্রদীপ জ্বালিয়ে রঙ্গোলি করা দীপাবলীর অন্যতম একটি রেওয়াজ । আবার সুযোগ সুবিধার দিক থেকে চীনা বাতি র গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে । তাই এই পরিস্থিতিতেও চিরাচরিত প্রদীপ মোমবাতির কদর কিন্তু দীপাবলিতে আগের তুলনায় কম হলেও থাকবেই ।