দীর্ঘদিন বন্ধ বহরমপুর শ্মশানে ইকট্রিক চুল্লি। পৌরভোটের দামামা বাজতেই চুল্লি ঘিরে চালু রাজনীতি। কলকাতায় পৌরভোটের আগে মুর্শিদাবাদেও চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। শ্মাশানের চুল্লি নিয়ে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অভিযোগ তুলে সরব বিরোধী মহল। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বহরমপুর শহরের দুটি শ্মশানের বন্ধ থাকা বৈদ্যুতিক চুল্লি, রাস্তা ঘাটের অবস্থা নিয়ে পৌরসভার তুলোধনা কংগ্রেসের। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় বহুরমপুরের দুটি শ্মশানে। অথচ তালাবন্ধ চুল্লির দরজা। কেন এই বেহাল অবস্থা? প্রশ্ন তুলেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস।
জয়ন্ত বলেন, “বহরমপুর শহরে পৌরপরিষেবা নেই বললেই চলে । দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি । আমরা দাবি জানাচ্ছি , বৈদ্যুতিক চুল্লি সারিয়ে দেওয়া হোক” ।
জয়ন্তর দাবি, অধীর চৌধুরী দিল্লিতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সভাতেও বৈদ্যুতিক চুল্লি সারিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পৌর পরিষেবা নিয়ে কংগ্রেসের সুরেই সুর মিলিয়ে পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপিও । বিজেপি দক্ষিণ সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলা সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র সরব হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও।
বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বহরমপুর পৌরসভার মুখ্য উপদেষ্টা নাড়ুগোপাল মুখার্জী । কংগ্রেসের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নাড়ুগোপাল।নাড়ুগোপাল মুখার্জী বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলেকট্রিক চুল্লীর কাজের জন্য ছয় মাস আগেই টেন্ডার করে দিয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার করেছেন। কাজ চলছে। দিয়ে কাজ চলছে”। দ্রুত চালু হোক ইলট্রিক চুল্লি, চাইছেন শহরের মানুষ।