মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ১ লা জুলাই থেকে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বহরমপুর পৌরসভাও তৎপর হয়েছে প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে। বুধবার সকালে বহরমপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে বহরমপুর নতুন বাজার এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে চলে অভিযান। দূষণের পরিমান কমাতে আগে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭৫ মাইক্রোন বা তাঁর নিচে প্লাস্টিক ব্যবহারে সবুজ সংকেত মিলেছে। যদিও তা ব্যয় বহুল, সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতাদের অধিকাংশর মত “যদি প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতেই হয় তবে প্রথমে প্লাস্টিক কারখানা গুলো কে বন্ধ করা হোক! ”
অনেক বিক্রেতারা বলছেন “পদ্মপাতায়, খবরের কাগজে করে জিনিস দিলে লোকে কিনছেন না। সরকার বা পৌরসভা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুব ভালো, এতো টাকা ফাইন দিতেও সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।”
বুধবার সকালে বহরমপুর পুরসভার অভিযানে যাঁরা প্লাস্টিকে করে জিনিস কিনে ফিরছিলেন তাঁদের থেকে ৫০ টাকা এবং যাঁরা ৭৫ মাইক্রোনের উপরে প্লাস্টিকে করে জিনিস বিক্রি করছিলেন তাঁদের থেকে ৫০০ টাকা ফাইন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এই প্লাস্টিক ব্যবহার কতটা ক্ষতি,৫২ মাইক্রোনের বদলে ৭৫ মাইক্রোনে কি সুবিধা? সর্বোপরি একটা প্লাস্টিক কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে এবং একটা প্লাস্টিক কত দিনের মাটির সাথে মিশতে পারে এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পদ্ধতি বা কি সব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন “আবারও পুরোনো দিনে ফিরতে হবে। জুটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ” কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ প্রণব কুমার রায় জানাচ্ছেন, “প্লাস্টিক কখনোই সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয় না। তাই যেকোনো প্লাস্টিকই ক্ষতিকর, যদি ৭৫ মাইক্রোনের নিচে হয় তাহলে দূষণের পরিমান হয়তো কমবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সত্যি গুরুত্বপূর্ণ |”
পৌর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে শহর জুড়ে ভীষণ কড়াকড়ি শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন দোকানে ক্যারি ব্যাগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ বলেও লেখা দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার শান্তি কুমার রায় চৌধুরী জানাচ্ছেন, বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে কাগজের ব্যাগ বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে যেগুলো খুব সহজে ডিসপসিবল।পাশাপাশি পৌরপিতা নাড়ু গোপাল মুখার্জীও জানাচ্ছেন,“যদি কেউ প্লাস্টিক ব্যবহার না বন্ধ করে তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পৌরসভা।শহর কে স্বচ্ছ রাখতে, পরিষ্কার রাখতে সব সময় পৌরসভা তৎপর। “