মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ দেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। পরিবারের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়, গ্রেফতার হয়েছে কারা। বাপ্পার খুনের বিচার চেয়ে সিবিআই তদন্ত চাইছে বাপ্পার পরিবার। শুক্রবার সকালে ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করলেন বহরমপুরের সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর আগে এদিন সকালে বাপ্পার বাড়িতে যান সিপিআই(এম) নেতা জামির মোল্লা, ডিওয়াইএফআই নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহা।
এদিন মেঝেতে বসেই বাপ্পা মণ্ডলের বাবা, মায়ের সাথে কথা বলেন অধীর। অধীরের কাছে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান পরিবার। অধীর চৌধুরীর সাথে কথা বলার পর মৃত যুবকের বাবা মিলন মণ্ডল বলেন, “আমি দাবি করলাম সিবিআই তদন্ত হোক । নিরপেক্ষ তদন্ত হোক দাবি করলাম। আজ পুলিশ চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁচাতে পারতো। পুলিশি ব্যার্থতা। আমি সিবিআই তদন্ত চাইছি। যারা আমার ছেলেকে খুন করেছে তার শান্তি দেখে যেতে চাই” ।
যুবকের পরিবারের অভিযোগ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের পাউরুটির কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাপ্পাকে অপহরণ করা হয় । এর কিছুক্ষণ পরেই অপহরনকারীরা বাপ্পার ফোন থেকে ফোন করে। পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা ।
মুক্তিপণ দিতে রাজি ছিল পরিবার
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে ,দাবি মতো গভীর রাতে বাপ্পার বাবা টাকা দিতে গেলে অপহরণকারীরা সন্দেহ করে যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ হয়, পুলিশ অনুসরণ করছে। অপহরনকারীরা তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দাবি করেন বাপ্পার বাবা।
কী দেখা গেল সকালে ?
বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর থানার উত্তর পাড়া মোড়ের বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বাইপাস সংলগ্ন মাঠে যুবকের উদ্ধার হয়।
দাবি সিবিআই
মৃত যুবকের বাবা মিলন মণ্ডল বলেন, “আমি দাবি করলাম সিবিআই তদন্ত হোক । নিরপেক্ষ তদন্ত হোক দাবি করলাম। আজ পুলিশ চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁচাতে পারতো। পুলিশি ব্যার্থতা”।
যুবকের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, আমরা দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রাজ্যের আইনশৃংখলার পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। তাই অপরাধীদের সাহস বাড়ছে। পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়েছে পরিবার। রাজ্যের মানুষ। এই রকম ঘটনা আগে ভিনরাজ্যে দেখা যেত। পুলিশ, প্রশাসনের প্রতি ভরসা নেই পরিবারের । নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি আমরা। আমরা পরিবারের পাশে আছি।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নতুন নতুন অপরাধের তালিকা তৈরি হচ্ছে। আমরা গরু পাচার, বালি পাচার, কয়লা পাচার, সিন্ডিকেট রাজ দেখলাম নতুন করে এই বাংলা ক্রমশই অপহরণ রাজ গ্রাসের দিকে এগিয়ে চলেছে। একের পর এক অপহরণ এবং অপহরণপন আদায় না হলে খুন করে দেওয়া হচ্ছে। এবাংলার প্রশাসন শুধু সরকারের দালালি করতে করতে খতম হয়ে গেছে। অধীর বলেন, আমি পরিবারের সাথে আলোচনা করছি কোর্টের তত্ত্বাবোধনে । আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করব ।