বর্ষা রাতের অন্ধকারে পা ফেলুন দেখে! ওঁত পেতে বিপদ

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ বর্ষা রাতের অন্ধকার। রাস্তায় ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ। হতে পারে রাস্তা পেরোচ্ছে বিষধর সরীসৃপ। অসাবধানতাবশত গায়ে পা ফেললেই বিপদ। দেখে ফেলুন পা। আপনি পা ফেললে সেও আত্মরক্ষার জন্য দিতে পারে কামড়।

তবে সাপে কামড়ালেই মৃত্যু, একথা ভুল। সময় নষ্ট না করে চিকিৎসা শুরু করলে বেঁচে যেতে পারে প্রাণ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই। সময় নষ্ট না করে নিয়ে যাওয়া উচিত নিকটবর্তী হাসপাতালে।

এমনিতে রাতের বেলা সাপের চলাচলের সময়। তার মধ্যে বর্ষাকাল আরও বিপদের। জেলায় বেড়েছে সাপের কামড়ে জেলায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। তার কারণ হিসাবে চিকিৎসায় বিলম্ব বা দেরি হওয়াকেই দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের, মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি তপন সামন্ত বলেন, সাপে কামড়ে মৃত্যুর জন্য মূলত দুটি কারণ। এক, আমাদের চেষ্টা করতে হবে সাপ যাতে না কামড়ায়। সাপ ইচ্ছে করে কামড়ায় না, সে আঘাত পেলে আত্মরক্ষার জন্য কামড়ায়।  তাই রাতে রাস্তা চলাচলের সময় টর্চ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। জোরে জোরে আওয়াজ করে হাঁটলে সাপের বুঝতে সুবিধা।  কারণ সাপের কান নেই, সে মাটির কম্পন শুনে আন্দাজ করে।  রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। আর খাবার পরে ভালো করে হাত ধুতে হবে। কারণ সাপ নখের নিচে থাকা খাবারের খোঁজে আসে ঘরের ভিতরে।

দুই, সাপে কামড়ালে ওঝা বা ঝাড়ফুঁকে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রথমে সাপটিকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপরেই আঘাতপ্রাপ্তকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সাথে খেয়াল  রাখতে হবে। যাতে আঘাতপ্রাপ্তের শরীরে যাতে অত্যাধিক মাত্রায় রক্ত চলাচল না হয়। যে জায়গায় সাপে কামড়েছে সেখানে বাঁধন দিতে হবে যাতে বিষ ছড়িয়ে না পরে। বাঁধন দিতে হবে আলগা করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জোরে বাঁধন দিলেও একদমই রক্ত চলাচল না হতে পেরে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এই গুলি খেয়াল রাখলে বেঁচে যেতে পারে রুগীর প্রাণ। কুসংস্কারের জেরেই মৃত্যু। সাপের কামড়ে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে রুগীর সুস্থতার হার ৯৯ শতাংশ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের, মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি তপন সামন্ত।

See also  করোনা সতর্কতায় সচেতনতার বার্তা