মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ২১ ফেব্রুয়ারিঃ রবিবার সাত সকালে খুন ঘিরে উত্তেজনা ভগবানগোলায়। রবিবার সকালে ভগবানগোলার কানাপুকুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় গুরুতর আহত কুরবার সেখকে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিনই তেরো বছর পর গ্রামে ফিরেছিলেন কুরবান সেখ।
২০১৭ সালের ৪ জুন ভগবানগোলার মহম্মদপুরেই খুন হন স্থানীয় বাসিন্দা মাজেরুল ইসলাম। খুনের অভিযোগ উঠেছিল কুরবানের বিরুদ্ধে। সেই থেকেই গ্রামছাড়া ছিলেন কুরবান।
কুরবান সেখের মেয়ে তামেসা বিবি’র অভিযোগ, জমির বিবাদ মেটানোর জন্য ডেকে আনা হয় বাবাকে। তারপর তাকে খুন করেন স্থানীয়রাই। নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন তামেসা।
অন্যদিকে মাজেরুল সেখের স্ত্রী মেরিনা বেওয়ার কথায়, মাজেরুল সেখকে খুনের পর বেপাত্তা হন কুরবান। ২০১৭ সালে মাজেরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল সে। তিনি এদিন শোনেন, স্থানীয় দরগার কাছে কুরবানকে মারধোর করছে স্থানীয়রা। তিনি বলেন পুলিশে তুলে দেওয়ার কথা।
তেরো বছর আগের স্মৃতি এখনও টাটকা মাজেরুল সেখের মেয়ে সুস্মিতা বিবি’র। সুস্মিতা বলেন, সেদিন বাড়ি এসেছিলেন কুরবান। কাজ করতেন বাবার সাথে। তিনিই বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন মাজেরুলকে। সন্ধ্যে সাত’টা নাগাদ জানতে পারেন কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বাবাকে।
মাজেরুলের স্ত্রী, মেয়ের অভিযোগ শেষ জবানবন্দীতে কুরবানের নাম করেছিলেন মাজেরুল।
এদিন মৃত কুরবান সেখের আত্মীয় মোজাম্মেল সেখের অবশ্য দাবী, কলকাতায় থাকতেন কুরবান। সেখান থেকে ডেকে আনা হয় জিয়াগঞ্জ। রাতেই জিয়াগঞ্জ থেকে গাড়িতে করে হাবাসপুর পাকা দরগার কাছে নিয়ে এসে খুন করা হয় কুরবানকে।
খুনের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভগবানগোলা থানার পুলিশ। যদিও থানায় এখন কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি।
পুরোনো বিবাদের জেরেই খুন নাকি নতুন কোন ঘটনা সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তেরো বছর পর ফের খুনে উত্তেজনা আছে ভগবানগোলার মহম্মদপুরে। স্থানীয়দের এক অংশের অনুমান, তেরো বছর আগের খুনের বদলা হিসবেই এদিন হামলা করা হয় কুরবানের উপর। পুরোনো বিবাদের জেরে আর যাতে হিংসা না ছড়ায় চাইছেন গ্রামবাসীরা।
বদলা ১৩ বছর পর ! মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ভগবানগোলায়
Published By: Madhyabanga News |
Published On: