নিজস্ব প্রতিবেদনঃ চোখের সামনে একটু একটু করে গঙ্গার জলে তলিয়ে যাচ্ছে ভিটে মাটি। কখন আবার ধ্বস নামে- সেই আতঙ্কে রাত জাগছেন অসহায় মুখগুলি। ফরাক্কার কুলিদিয়ার চরে গঙ্গা ভাঙনের পর এবার গঙ্গা ভাঙনের কবলে ফরাক্কার হোসেনপুর চর। গত দু দিন ধরে চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে চরের বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ টি বাড়ি গঙ্গা বক্ষে তলিয়ে গিয়েছে। ভিটে মাটি হারানো পরিবারগুলির ঠাই গ্রামের কোন স্কুল কিংবা রাস্তার পাশে।
অনেকেই আবার ঘর বাড়ি থেকে জরুরি সামগ্রী সরিয়ে অন্যত্র ঠিকানা খুঁজছেন। নাওয়া খাওয়া ভুলে এখন টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন চরের মানুষজন।
গঙ্গা ভাঙনে মাথায় হাত পাট চাষিদেরও। দবসে গিয়েছে পাঁটের জমি। অবশিষ্ট জমির পাট কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন পাট চাষিরা।
প্রত্যেক বছর বর্ষায় গঙ্গা পারে ভাঙন শুরু হয়, কিন্তু এবছর ভাঙনের দাপট শুরু হয়েছে আগেই। সেচ দপ্তরের তরফে গঙ্গা ভাঙন রোধে বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও জলের তলায়। ফরাক্কা ব্যারেজ কতৃপক্ষের তরফে কোন সহযোগিতা মিলছে না, অসহায় পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে না- অভিযোগও করছেন অনেকেই।
যদিও গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ফরাক্কা ব্লকের প্রশাসনিক কর্তা বলেন, চর এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ করা যাবে না। চর এলাকা ছেড়ে বাসিন্দাদের অন্যত্র যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতায় রয়েছে।