অতিমারির পর স্কুল খুলেছে কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় লক্ষাধিক ছাত্র ছাত্রী এখনও স্কুলছুট। স্কুলছুটদের স্কুলমুখি করতে রাজ্যে প্রথম মুর্শিদাবাদেই চালু হল ‘স্কুল ডাকছে’ কর্মসূচী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের উদ্যোগে ও মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় লিভার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে এই কর্মসূচীর সূচনা হয়।এদিন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে ইমাম থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, স্কুল শিক্ষক থেকে জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।
লিভার ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “ মুর্শিদাবাদ জেলা সারা রাজ্যের কাছে এবং সম্ভবত দেশের কাছেও পথ দেখাতে পারে। সেই পোটেনশিয়াল রয়েছে”। তিনি বলেন, করোনার জেরে শিক্ষাক্ষেত্রে যে প্রভাব পড়েছে তা গোটা দেশ জুড়ে পড়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা সচেতন জেলা, ভাবনার দিক থেকে এগিয়ে থাকা জেলা। শিশুরা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয়ে উদ্যোগী হবেন অনেকেই।
মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্টব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার। এদিন জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “আমরা গত কয়েক দিন থেকে দেখছি আমাদের জেলায় উপস্থিতির হার ভালোই আছে। এটা আরও ভালো হোক । যারা আসছে না তাদের নিয়ে আসার জন্য আমাদের কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সিস্টেম আছে, শিক্ষাবন্ধু প্যারাটিচার রয়েছেন । আমরা এখানে কমিউনিটিকে যুক্ত করতে চাইছি” । কমিউনিটি যুক্ত হলে সাধারন মানুষ কে বোঝানো সম্ভব ।এলাকার মানুষ যখন এগিয়ে আসবেন তখন সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা আশা করছেন ।
এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্টব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার । দেবশঙ্কর হালদার জোর দিয়েছেন পড়ুয়াদের কাছে বারেবারে স্কুলে ফেরার ডাক দেওয়ায়। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের ডাকতে হবে। একবার দুবার, তিনবার, বারবার ওদের কে বোঝাতে হবে,ওদের কে ওদের মতন করে ডাকতে হবে” ।
লিভার ফাউণ্ডেশন এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে খুশি শিক্ষক মহলও । এদিন ট্যাবলোর মাধ্যমে বোঝানো হয় স্কুল যাওয়া কতটা জরুরি । করোনার ভয় কাটিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে ফিরবে, আশবাদী সকলে ।