রাহি মিত্র: বহরমপুর : দীর্ঘ প্রায় কুড়ি মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে রাজ্যের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চলেছে ১৬ নভেম্বর থেকে। তবে প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলি খোলা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি রাজ্য। প্রশ্ন উঠছে, কবে খুলবে প্রাইমারি স্কুল ? মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে প্রাইমারি এবং শিশু শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য স্কুলের অঙ্গন খুলবে এই বিষয় নিয়ে ।
একাধারে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক আবার একজন অভিভাবক সুজয় রায় । ছোট্ট সায়নী , ক্লাস ওয়ানের ছাত্রীর পিতা। বহরমপুরে স্বর্ণময়ী এলাকায় স্পোর্টিং ক্লাব প্রাইমারি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে সায়নী রায়। মাঝেমাঝেই বায়না ধরে স্কুলে যাওয়ার জন্য। তবে সায়নীর বাবা-মা এ বিষয়ে অনড়। সায়নীর বাবা সুজয় রায় জানালেন , এখনই প্রাইমারি বা শিশু শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল খোলা একেবারেই ঠিক হবে না । কারণ করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয় বর্তমানে । তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো এক্ষুনি চলবে না।
তবে বেলডাঙ্গার নওপুকুরিয়া নতুন পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুখময় সাহা জানালেন , প্রাইমারি থেকে শিশু শ্রেণীর সমস্ত স্কুল খুলে দেওয়া উচিত । আর এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকার অপেক্ষায় তারা রয়েছেন।
তবে সুখময় বাবু এ বিষয়ে একটা উপায় বাৎলে দিলেন । জানালেন, সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস করবে ছাত্র ছাত্রীরা । যে কোন ক্লাসের মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যাকে 6 দিয়ে ভাগ করে নিয়ে যে সংখ্যা বেরোবে সেই সংখ্যক ছাত্র বা ছাত্রী সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস করবে। তাতে সীমিত সংখ্যক পড়ুয়া ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবে । ফলে করোণা সুরক্ষা বিধি সঠিকভাবে পালন করা হবে। সুখময় বাবুর সাথে একই সুরে সুর মেলালেন বেলডাঙ্গা – ১ এর দেবপুর হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক সামসুল হালসোনা। জানালেন প্রাথমিক শিশু শ্রেণী থেকে সব ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সব স্কুল খুলে দেওয়া উচিত কোভিড বিধি মেনে। কারণ শিশুদের জন্য কবে টিকাকরন হবে তা জানা নেই ।
তবে দীর্ঘদিন এভাবে শিশুরা স্কুল ছাড়া হলে শিশু মনে খারাপ প্রভাব পড়বে । সবকিছু যেখানে চলছে রাজ্যে। তবে প্রথমিক বিভাগের স্কুল কেন বন্ধ থাকবে? প্রশ্ন তোলেন সামসুল হালসোনা।