মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ আনিস খানের মতো লালগোলার যুবক আব্দুর রহমানের জন্য ‘ইনসাফ’ চেয়ে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিল সিপিআই(এম)’এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। শুক্রবার সকালে বহরমপুরে ডিওয়াওইএফআই’এর অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বলেন, এই আত্মহত্যার জন্য দায়ী রাজ্যের সরকার, প্রশাসন। তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে রাজ্যে দুর্নীতির র্যাকেট তৈরী হয়েছে। প্রাথমিকে চাকরি চেয়ে এই রকম র্যাকেটের খপ্পরে পড়েছিলেন লালগোলার আব্দুর রহমান। চাকরি না পেয়ে, অবসাদে হতশায় তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এখনও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই যুবকের গ্রাম যান ডিওয়াইএফআই নেতারা। কথা বলেন থানার সাথেও।
শুক্রবার তোলা হল দেহ
শুক্রবার সকালে কবর থেকে তোলা হল লালগোলার আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী আব্দুর রহমানের মরদেহ । এদিন সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয় । ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার। দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় লালগোলা থানার পুলিশ ।
কী বললেন অধীর
এদিন লালগোলার বিষয়ে বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী বলেন, এই দুর্নীতির সাথেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ আছে। মন্ত্রী, সান্ত্রী মিলিয়ে লুট হয়েছে। সেই লুটের ভয়ংকর পরিণাম হয়েছে লালগোলায়। ওই যুবক সবকিছু লিখে গিয়েছে। তদন্ত ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল লালগোলার পুলিশ । কোর্টের ধাক্কা খেয়ে পুলিশ কিছু কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
আন্দোলনের হুমকি যুবদের
ধ্রুব’র হুঁশিয়ারি, দ্রুত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হলে উৎসবের পরেই আন্দোলনে নামবে যুবরা। ডিওয়াইএফআই নেতাদের দাবি, রাজ্যজুড়েই দুর্নীতির এই জাল কাজ করছে। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও কেন পুলিশ নিজে থেকে হস্তক্ষেপ করল না সেই প্রশ্নও তুলেছে বাম যুবরা।
কী হয়েছিল ?
বৃহস্পতিবার আব্দুর রহমানের বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত রেহেসান সেখকে লালবাগ আদালতে তোলা হয়। দেহের যেতেহু কোন ময়নাতদন্ত হয় নি। তাই, মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ।
মঙ্গলবার নিজের গ্রামেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন আব্দুর রহমান। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর বাড়ির লোকজন কবর দিয়ে দেন। শুক্রবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা লালগোলার বিডিও সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে মৃতদেহ তোলা হয়। গোটা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয় । ভিডিওগ্রাফি করা রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার মৃতের বাবা মফিজুদ্দিন সেখের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছে লালগোলা থানার পুলিশ । ধৃত রেহেসান সেখকে বৃহস্পতিবারই লালবাগ আদালতে পেশ করা হয় । আদালত ধৃতের দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে । মৃতের বাবার অভিযোগ, একটি নোটে ছেলে জানিয়েছে প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ দিয়ে প্রাতারিত হয়েছিল ছেলে। বারবার টাকা ফেরত চাইলেও টাকা দেয় নি প্রতারকরা।