পুজোয় স্পেশাল মেনু, কান্দিতে ভিড় বাড়ছে ফাস্ট ফুডের দোকানে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

পবিত্র ত্রিবেদীঃ বাঙালি খাদ্য রসিক। আর পুজো থাকবে খাওয়া হবে না তাই কি হয় ? সে আজকের প্রজন্ম যতই ক্যালোরি নিয়ে, ফিটনেস নিয়ে ভাবুক। দুর্গা পুজোর উৎসব মানে জমিয়ে খাওয়া। সারা বছর বাড়িতে হরেক রকমের পদ রান্না করে খেলেও পুজোর কটা দিন মন উড়ু উড়ু করে। এক্ষেত্রে আজকের জেনারেশনের কথা তো আর বলার কিছু নেই। অনলাইনে যতই ডেলিভারি আসুক। হোটেলে, রেস্তোরাঁয়, কিংবা ফুচকার স্টলে লাইন দিতে কার না ইচ্ছে করে। হই হুল্লোরের সঙ্গে পেট ভরে খাওয়া। পুজোয় ঠিক এই ছবি কান্দির মতো মফস্বল শহরেও।
প্রতিদিনের মেনুতে যে খাবার আমরা খাই, তার বাইরে অন্য খাবারের স্বাদ নেওয়া। কান্দিতে বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপে নতুন খাবার রেসিপি নিয়ে হাজির রেস্তোরাঁ, হোটেল মালিকরা । পুজোর জন্য স্পেশাল মেনু তৈরি হয়েছে শহরের স্থায়ী রেস্তোরাঁগুলিতেও। সপ্তমীর দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েও সেখানে ভিড় দেখা গেল। পুজোয়
স্পেশাল ডিশ, স্নাক্স চিকেন, মাটন, তন্দুর, নুডলস, বিরিয়ানি, আইসক্রিম। কোনও রেস্তোরাঁ করেছে স্পেশাল প্রন মালাইকারি, পনির পকোড়া, মোগলাই পরোটা, মিক্সড হাককা নুডুলস।
রবিবার দুপুরে সবে বৃষ্টি কমেছে অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় ফুচকার স্টল নিয়ে বসেছেন সুভাষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, তাঁর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ফুচকা চার্ট । এছাড়া দই ফুচকা। নানুর থেকে জনা দশেক কর্মচারী নিয়ে দোহালিয়ায় ইন্দিরাজি স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপের সামনে অস্থায়ী রেস্তোরাঁ খুলে ফেলেছেন কৃষ্ণ দাস । এবারে প্রথম সেখানে এসেছেন । তিনি জানালেন, তাঁর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে চিকেন পকোড়া। তাছাড়া মোগলাই, চাউমিন তো আছেই । সারারাত খোলা থাকবে।
কান্দির প্রবীণ বাসিন্দা অনিমেষ দাস বলেন, চিতল মাছের মুইঠা। গরম ভাত আর মাংস। এগুলি জিভে জল আনা বাঙালি খাবার। পুজো, উৎসবে এর বাইরে গিয়ে বিদেশি খাবারের ঝুঁকছে এখনকার নবীন প্রজন্ম। এমনিতে মোবাইলের দৌলতে তাঁরা সারা পৃথিবীর খাবারের সঙ্গে পরিচিত । সেই সাধ পূরণ করতেই রেস্তোরাঁয় ঝুঁকছেন তাঁরা।