পাত্রীর বয়স ১৮, পাত্রের বয়স- ৪২- এও কি সম্ভব? শুনতে অবাক লাগলেও ২২ বছরের বয়সের ফারাক জেনেও পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক জামাই পেতে পরিবারের একমাত্র কন্যা সন্তানের বিয়েতে এলাহি আয়োজন মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার সিপাহির চক এলাকায়। স্বচ্ছল কৃষক পরিবারের মেয়ের বিয়ে ধুমধাম করে দিতে সমস্ত আয়োজন সাড়া। সোমবার ছিল বিয়ের দিন। গায়ে হলুদ পর্বের আগেই এই ঘটনা জেনে বিয়ে বাড়িতে হানা দিলেন প্রশাসনিক কর্তা, গণশিক্ষা আধিকারিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীর।
জন সমক্ষে পাত্রীর বাবা ও মায়ের সাথে কথা বলেন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। কথা বলা হয় পাত্রীর সাথেও। দৌলতবাদের ছয়ঘড়ির বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষিত হয়েও কি ভাবে এত কম বয়সী মেয়ের সাথে বিয়েতে রাজি হলেন ! – প্রশ্ন তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীও । নাবালিকা বিয়ে রোধে অভিযান চলে, এর মাঝেই ১৮ বছরের মেয়ের পরিবারের এই সিদ্ধান্তে হতবাক খোদ গণশিক্ষা আধিকারিক ।
ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানান কর্মকাণ্ড চললেও- কবে বদলাবে সমাজ? কবে বদল ঘটবে মানসিকতার? যদিও পাত্রী সাবালক হওয়ায় বিয়ে রোখা যায় নি।