পঞ্চায়েতে অনাস্থায় আপত্তি তাহেরের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ১৪মেঃ নির্বাচনের পর্ব মিটতেই নতুন বিতর্ক তৃণমূলে। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতেই শুরু হয়েছে প্রধানদের সরাতে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া।  দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া অনাস্থা আনা যাবে না,  নির্দেশ দিলেন তৃণমুল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান।

১১ মে জলঙ্গীর খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্য। প্রধান সেলিনা বিবি’কে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের একাংশ।

এর আগে হরিহরপাড়ায়  পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীকে  দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমুল কংগ্রেস ।  মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া পদক্ষেপ জানালেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। হরিহরপাড়া বিধানসভার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিধায়ক নিয়ামত শেখ এর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।  দল বিরোধী কাজের জন্য হরিহরপাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান খাদিজা খানম ও তার স্বামী প্রাক্তন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয় বলে জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি।

অনাস্থার প্রক্রিয়া চলছিল অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতেই। কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ আছে দলে।

দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত প্রধান। খড়গ্রাম ব্লকের  জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস কুমার সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা  জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি।

বৃহস্পতিবার  আবু তাহের খান  বলেন, পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় অনাস্থার নোটিশ জারি হচ্ছে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা কথা বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখনই কোন অনাস্থা হবে না।

কোন অভিযোগ থাকলে ব্লকে মিটিং করে দলকে জানাক নেতারা। ব্লকের সুপারিশ যাচাই করে দেখবে জেলার, রাজ্যের নেতারা। তারপরেই সিদ্ধান্ত হবে।

” কোন প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে গেলে দলের অনুমতি প্রয়োজন। এই মূহুর্তে কোন পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা হবে না”, কড়া নির্দেশ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির।

তৃণমূল কংগ্রেস মহলের খবর, দলের রাশ নিজের হাতে রাখতেই কড়া নির্দেশ জারি করেছেন আবু তাহের খান।