নারকেলের ছোবড়া সকেলেই ফেলে দেন। কিন্তু এই ছোবড়া দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে উচ্চগুণমান সম্পন্ন সার। ফল, ফুল কিম্বা সবজি চাষে ছোবড়া সার খুব কাজে লাগে। নাইট্রোজেন ও কার্বনের অনুপাত, লিগনিন ও সেলুলোজের পরিমাণ কমাতে ছোবড়া বর্জ্যকে কমপোস্ট সারে পরিণত করা হয়। কমপোস্ট হলে এটা অনেক হালকা হয়ে যায় এবং একে চারাগাছের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করা যায়।
সার তৈরির জন্য কিছুটা উঁচু জমি চিহ্নিত করে নিতে হবে। নারকেল গাছের ছায়া সারের প্রস্তুতির পক্ষে সুবিধাজনক । ঢাকা এলাকায় এই সারের মধ্যেকার আর্দ্রতা সংরক্ষিত থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে, সার তৈরির জমি যেন এবড়োখেবড়ো না হয়। প্রয়োজনে জমি দুরমুশ করে, গোবর লেপে নেওয়া যেতে পারে। সারের উপাদানের ওপর ছাদ থাকলে ভাল, কারণ তাতে উপাদানগুলিকে বৃষ্টি এবং সূর্যের তেজ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।
ছোবড়া সার মাটির গুণ বাড়ায়। বেলে মাটি আঁটোসাঁটো হয় এবং কাদা মাটি আরও উর্বর হয়। এই সার মাটির সুষম ভাব বাড়ায়। এই সার মাটির জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এর ফলে মাটির আর্দ্রতা বাড়ে। ছোবড়া সার প্রয়োগের ফলে নিচের স্তরের মাটির(১৫-৩০ সেমি)ঘনত্ব কমে। ছোবড়া সারে ফসলের সকল পুষ্টিবিধায়ক পদার্থ থাকে এবং এই সার অজৈব সারের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। ছোবড়া সারের প্রয়োগের ফলে মাটিতে উপস্থিত মাইক্রোফ্লোরার পরিমাণ বাড়ে। ছোবড়া সার জীবাণুর কার্যকারিতা বাড়ায়, ফলে মাটিতে অ্যামোনিয়া, নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়ে।
সূত্র : Centre for Soil and Crop Management Studies, Tamil Nadu Agricultural University, Coimbatore/ Vikaspedia