নবমী মাঝরাতেও বিরিয়ানির লম্বা লাইন বহরমপুরে ,মদের দোকানেও বিক্রি তুঙ্গে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়ঃ বহরমপুরঃ  সকলের মনেই বিষাদের সুর। দশমীর ঘন্টা বেজে গেছে। তবে শারদ উৎসবের শেষ রাত নবমীতে বিরিয়ানিতে মজেগেল বহরমপুর।  রাত যত বেড়েছে বিরিয়ানির চাহিদা ততই বেড়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন শহর বহরমপুর এর নামকরা রেস্তোরাঁর মালিকরা। কিন্তু একটা সময়ের পর তো দোকান বন্ধ করতেই হয়। অগত্যা ‘ খদ্দের লক্ষী ’, এই প্রবাদ ভুলে রাতের শেষ লগ্নে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করার সময়ও কাস্টমার এসে জিজ্ঞাসা করছেন, “ আর দু প্লেট বিরিয়ানি কি হবে?”

 

নামী  রেস্তোরার পাশাপাশি রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা ছোট ছোট হোটেলগুলোতেও বিরিয়ানি কেনার  লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। শারদ উৎসবের আনন্দে ভাসছে শহর। বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এক হোটেলের মালিক খোকন বিশ্বাস জানাচ্ছেন, “ গতবারের তুলনায় এবছরের বিক্রি অনেক বেশি। নবমীর দিন প্রায় ২৫ কেজি বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে। ”

পাশাপাশি আরও এক রেস্তোরার মালিক শুভঙ্কর জানাচ্ছেন,“ পঞ্চমীর থেকে পুজো শুরু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় 600 থেকে 700 প্লেট বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু নবমীর রাত্রে দিয়ে কুলোতে পারছিনা। রাত্রি দেড়টার সময়  আবার নতুন করে হাঁড়ি চাপাতে হলো। ”

মাঝরাতেও ভিড়

 

পুজোর মরশুমে বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সব হোটেলই বিরিয়ানির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বেশিরভাগ বিক্রেতাই বলছেন অন্যান্য বছরের থেকে এবছর রেকর্ড ব্রেক করে গেছে বিরিয়ানি বিক্রিতে।

 

আরো এক বিক্রেতা মোহাম্মদ শাহবাজ বলছেন  বলছেন, “ আজ নবমীর দিনে এখন পর্যন্ত কোনো হিসেব রাখতে পারিনি। সব মিটলে হিসেব পড়তে বসবো। ”

 

পাশের আরো এক বিক্রেতা জানান, “ রাত্রি পৌনে দুটো পর্যন্ত প্রায় ৩৮  হাড়ি বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে। এখনো তৈরি হচ্ছে গোডাউনে। লোক যতক্ষণ আসবে আমরা সার্ভিস দেব। অন্যবারের তুলনায় এত লোক হবে এটা আমরা কখনোই ভাবিনি।”

বেশিরভাগ বিক্রেতাই বলছেন, “আশা করেছিলাম এবছর ভিড় হবে অনেক বেশি। বৃষ্টিতে একটু বাজার টা খারাপ হয়ে গেলেও নবমীর রাতে সকলের মন ভাল হয়ে গেল। মানুষের এই পরিমাণ ঢল আমাদের এক্সপেক্টেশন এর বাইরে। ”

দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারাও বলছেন, “চলতি পথে বিরিয়ানি সেরা। উৎসবের মরসুমে বিরিয়ানি ছাড়া আর কি বা খাব! ”

দুর্গাপুজোর শেষ রাতেও লোভনীয় বিরিয়ানি আট থেকে আশি সকলকেই  মাত দিলো।

 

বিরিয়ানির পাশাপাশি রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে এবছর বহরমপুরে। তবে আনুমানিক সংখ্যাটা ঠিক কত  সরকারি সূত্রে এখনো পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষ সূত্রে শহর বহরমপুর এর কয়েকটি বার থেকে জানা যায়, “ এই বছর রেকর্ড মদ বিক্রি শহর বহরমপুরে! ”

বিক্রেতারা এমনও জানিয়েছেন,“ কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী স্টক প্রায় শেষ! নির্ধারিত সময়ে দোকান বন্ধের আগে বহু মানুষকেই ফিরে যেতে হয়েছিল!”। তবে বিক্রেতাদের দুঃখ, নির্দিষ্ট সময় পর দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মাঝরাত অবধি খোলা থাকলে আরো বিক্রি বাড়ত বলে আশা সুরা ব্যবসায়ীদের।

সব মিলিয়ে এবছরের পুজো একদম জমজমাট। বিক্রেতা থেকে ক্রেতা সকলের মুখেই অবশেষে হাসি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই শারদ উৎসবের আনন্দে মাতলো শহ