ধূলিয়ানে ভোটাভুটি কেন ? খলিলুরের বিরুদ্ধে স্লোগান

Published By: Madhyabanga News | Published On:

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও স্বস্তি নেই তৃণমূল কংগ্রেসে। ধূলিয়ানে পৌরসভার বোর্ড গঠন এগল ভোটাভুটি অবধি। ধূলিয়ানে চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে ভোটাভুটির পর তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা  জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের  অপসারণ চেয়ে ক্ষোভ দেখালেন  দলেরই নেতারা ।

ধূলিয়ান  পৌরসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নিয়ে আগেই ধুলিয়ান পৌরসভা দখল করেছে তৃণমূল। এই পুরসভার ২১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে   তৃণমূল জয়ী হয়েছে  ১১ টি ওয়ার্ডে , কংগ্রেস জয়ী হয়েছে   ৭ টি ওয়ার্ডে  এবং নির্দলরা  জয়ী হয়েছে   ৩ টি ওয়ার্ডে।  মঙ্গলবার ছিল পৌসভার সভাপতি নির্বাচন।

তৃণমূল কংগ্রেস  আগেই ঘোষণা করেছিল চেয়ারম্যান হবেন ইনজামামুল হক।  এদিন পৌরসভায় কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন কাউন্সিলররা।  চেয়ারম্যান হিসাবে ইনজামামুল হক ছাড়া  আরও একজনের নাম প্রস্তাব আসে।  এনিয়ে ভোটাভুটি  হয়।  ১১ জনের সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে জেতেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীই। তারপরেই চেয়ারম্যান হিসেবে  শপথ নেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইনজামামূল হক, এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেন সুমিত সাহা।

ইনজামামুল হক  দাবি করেছেন , অন্য নাম প্রস্তাব করেন দলেরই এক কাউন্সিলার । বারো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শাহাজাহান মহলদারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোস্তাক আজাদ।  ভোটাভুটির ঘটনায়   জঙ্গীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সামশেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সহ কর্মী সমর্থকরা।

সামসেরগঞ্জ  ব্লক তৃণমূল সভাপতি  সহিদুল ইসলামের দাবি,” খলিলুর রহমানের আত্মীয় মোস্তাক আজাদ দলের নির্দেশের বাইরে অন্যজনের নাম প্রস্তাব করে ভোটাভুটি করায়। বিরোধীরা দশটি ভোট পায়। দলের সাথে বেইমানি করেছেন জেলা সভাপতি” ।

কার্যত  ব্লক সভাপতির পাশে দাড়িয়েছেন বিধায়ক আমিরুল ইসলামও। সরাসরি কারো দিকে অভিযোগের আঙুল না তুলেও আমিরুলের  দাবি,  কয়েকজন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ঘোষিত  প্রার্থীকে হারানোর চেষ্ঠা করেছেন । আমরা চিহ্নিত করেছি কারা এই কাজ করেছে। আমরা  দলকে জানাব”।