ধূলিয়ানে বাঁশের খাঁচায় আপত্তি বিরোধীদের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

গঙ্গা ভাঙনে একপ্রকার বিধ্বস্ত ধুলিয়ান। নদী পাড়ে ভাঙন জীবনে অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে বাসিন্দাদের। ধূলিয়ান পৌরসভার নদীপাড় লাগোয়া একাধিক ওয়ার্ড ভাঙনে কবলে পরে। গঙ্গায় জল বাড়লে আতঙ্ক, জলস্তর কমলেও আতঙ্ক। জল কমার সময় ভাঙন বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। পৌরসভা ভোটের আগে ধুলিয়ানে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। এর সাগে সামসেরগঞ্জেও ভাঙন প্রতিরোধের কাজের শিলান্যাস করেছেন স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম । আর এবার ধূলিয়ানে শুরু হল কাজ ।

বাঁশের খাঁচা করে নদী পাড়ে দেওয়া হবে , দেওয়া হচ্ছে বালির বস্তা, বোল্ডার । যা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন ভাঙনে বিপর্যস্ত ধুলিয়ান পৌরসভার ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। কংক্রিটের বাঁধ দেওয়ার দাবি উঠছে।

ভোটের আগে ভাঙন প্রতিরোধের কাজের তৎপরতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী মহল। সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস নেতা বাবলু মণ্ডল দাবি করেছেন, এইভাবে কাজ করে ভাঙন প্রতিরোধ করা যায়না । ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে কাজ করাতে হবে। ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বোল্ডার পিচিং’এর কাজ করতে হবে ।
সিপিআই(এম) নেতা মহম্মদ আজাদও এই কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিপূরণ বাবদ চার লক্ষ টাকার দাবি জানিয়েছি। শুনেছে ৩ কোটি টাকার দুটো কাজ আছে। বালির বস্তা, বাঁশের খাঁচা দিয়ে কাজ হবে। এভাবে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ হবে না।

বিজেপি নেতা মিলন ঘোষ বলেন, স্থায়ী বাঁধ না হলে ধূলিয়ান শহরই জলে তলিয়ে যাবে। নদী গর্ভে বহু বোল্ডার পড়েছে কিন্তু ভাঙন রোখা যায়নি।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ আমল দিতে চাননি ধূলিয়ানের পৌর সভার প্রশাসক মেহবুব আলম। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই সমস্যাটা দেখা উচিত। কিন্তু কেন্দ্র দ্বিচারিতা করছে। রাজই একমাত্র কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে নদীপাড়ের মানুষকে রক্ষা করার ব্যবস্থা আমরা করছি। রাজ্য সরকার ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে বলেই আশ্বাস দেন মেহবুব।