দ্বীপান্বিতা কালীপূজোতে সেজে উঠেছেন বহরমপুরের দয়াময়ী মা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

২৬২ বছরের পুরনো বহরমপুরের দয়াময়ী কালীবাড়ি সেজে উঠছে দীপান্বিতা কালীপূজোর সাজে। সম্পূর্ণ কালীবাড়ি সাজানো হচ্ছে ফুল দিয়ে। ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণেন্দু হোতা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। দেবী এখানে জাগ্রত বলেই সকলে মান্যতা দেন। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন অলৌকিক কাহিনী। মন্দিরের দিকে তাকালে দেখা যাবে মন্দিরটি জোড় বাংলা গোত্রের|মন্দিরের গায়ে পোড়া মাটির কাজে খোদাই করা আছে বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তি| শোনা যায় এই শেষবারের মতন সংস্কারের আগেও মন্দিরের গায়ে খোদিত ছিল বিভিন্ন হিন্দু ধৰ্ম গ্রন্থের প্রাচীন গাথা|

মন্দিরটি বারবার সংস্কারের ফলে তার প্রাচীনত্ব হারিয়েছে। দেবী এখানে নিত্য পূজিতা হন। এই মন্দিরে দেবীকে মৎস্য ভোগ নিবেদন করা হয়। কালীপুজোর দিন এলাকার মানুষ তো আসেনই তার সাথে বাইরে থেকেও প্রচুর ভক্তরা ভিড় জমান| বংশ পরম্পরায় এই মন্দিরের সেবাইতরা সেবা করে আসছেন| ১১৮ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় মায়ের সেবা করে আসছেন বর্তমান সেবাইত পিনাকী ভট্টাচার্য| পিনাকী ভট্টাচার্য জানান “এখানে মায়ের আমিষ ভোগ হয় এটি বিশেষত্ব, মন্দিরের পক্ষ থেকে বলি হয়না, কারোর মনোস্কামনা থাকলে তাঁরা মাকে বলি উৎসর্গ করেন|” তিনি আরও জানালেন বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে তারা ভোগ বিতরণের জন্য আলাদা নিয়ম রেখেছেন| সাথে মন্দির প্রাঙ্গনে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে|