দোস্তজীঃ মুর্শিদাবাদের সাথে এই সিনেমাকে আলাদা করা যাবে না। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখতে ভিড় বহরমপুরে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  দোস্তজী , দুই বন্ধুর অটুট বন্ধুত্বের গল্প। আবার বিচ্ছেদেরও। এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে সিনে প্রেমীদের চর্চায় এই দোস্তজী সিনেমাটি। ছবিটি দেশবিদের সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত আটটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১১ই নভেম্বর শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে।

তবে এই ছবির মূল আকর্ষণ দুই খুদে অভিনেতা । তুই ছবির বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে মুর্শিদাবাদের ভগিরথপুরে। ছবির যারা কলাকুশলী তারাও বেশিরভাগ মুর্শিদাবাদের। বহরমপুরে মোহন টকিজে ছবির প্রথম শোয়ে  উপস্থিত ছিলেন ছবির কয়েকজন কলাকুশলী ও সদস্যরা। এই ছবিতে কোন প্রথাগত অভিনেতা অভিনেত্রী নেই। তবুও এই ছবি আজ সারা বিশ্বের সকলের মুখে মুখে ঘুরছে।

এদিন  দর্শকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি শুরুর আগে বেশিরভাগ দর্শক জানান, “ ছবিটি বিশ্বের দরবারে যেভাবে নাম কামিয়েছে, এতগুলো এওয়ার্ড পেয়েছে, এত প্রশংসা পেয়েছে তার কারণটা ঠিক কি এবং কেন এটাই জানতে আমরা দেখতে এসেছি। ”

এর পাশাপাশি অন্যান্য দর্শকদের মধ্যে অনেকেই জানান,“ এই ছবি আমাদের মুর্শিদাবাদে তৈরি হয়েছে। কলাকুশলীও আমাদের মুর্শিদাবাদের । এই সিনেমাটি এত সম্মান পেয়েছে তা সত্যি আমাদের কাছে গর্বের বিষয় । ”

উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাহুল দেব ঘোষ। এই সিনেমার অন্যতম অভিনেতা গৌতম মজুমদার এবং ছবির শিশু শিল্পী হাসনুহেনা মন্ডল । উপস্থিত ছিলেন শিশু শিল্পী হাসনাহেনার বাবা ও মা। উৎসাহের সাথেই হাসবেন্ডের মা বলেন, “ কখনো ভাবি নি নিজের মেয়েকে এত বড় পর্দায় দেখব ( খানিকটা চোখ ছল ছল অবস্থায় )। এতদিন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম কবে এই সিনেমা পর্দায় দেখবো। আর সেটা স্বচক্ষে দেখতে পেরে ভীষণ আনন্দ লাগছে।”

সিনেমা শুরু হবার আগে ছবির কলাকুশলীরা দর্শকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তারা বলেন “আপনারা আপনাদের ভাল লাগাটা যেভাবে পারেন শেয়ার করুন আমাদের মধ্যে। যদি কোথাও ভুল ত্রুটি দেখেন সেটাও আমাদের জানান। ”

এদিনের প্রিমিয়ারে মোহন টকিজ এর বাইরে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হলের বাইরে ছিল টিকিটের লম্বা লাইন। মোহন টকিজের ম্যানেজার সোহম পাল জানান, “ এই ছবিটা ওয়ার্ড অফ মাউথ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রথম দিনেই অনেক টিকিট বিক্রি হয়েছে,আমরাও আশাবাদী।”
এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, “ আমি নিজে একজন দর্শক হিসেবে এই সিনেমাটা দেখতে চাই। মুর্শিদাবাদের লোকেশন, মুর্শিদাবাদের শিল্পী সবমিলিয়ে এই সিনেমা কতটা ভালো হয়েছে তা দর্শকদেরও দেখার জন্য বলব।”

দোস্তজী ইতিমধ্যে দেশ বিদেশ তথা গোটা পৃথিবী সেনাপ্রেমীদের মুখে মুখে ঘুরছে। তবে ভারতবর্ষে মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি কতটা সাফল্য লাভ করে, কতটা দর্শকদের মন জয় করে নিতে পারে সেটাই এখন দেখার!