দেবীর পায়ে শিকল, মুখে কাপড় ! পেটকাটি দুর্গার রহস্য কী ?- Petkati Durga -Murshidabad

Published By: Madhyabanga News | Published On:

পায়ে শিকল, মুখে কাপড়- এভাবেই পূজিত হন  পেট কাটি দুর্গা।  জানা যায়, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গদাইপুরের পেট কাটি দুর্গা পুজো। জেলার অন্যতম প্রাচীন ও বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম এই পুজো। প্রাচীন রীতি মেনেই হয়ে আসছে মাতৃ বন্দনা। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই আজও একচালার মূর্তি তৈরি হয় ঠাকুর দালানে। এখনও মা পেটকাটির মুখের পাশে একটুকরো কাপড় লাগানো থাকে। পায়ে থাকে শিকল। পুজো আসছে। প্রতিমা তৈরিতে  এখন ব্যস্ততা  শুরু হয়েছে ঠাকুর দালানে। ব্যানার্জী পরিবারের সাথেই গোটা গ্রাম দেবী বন্দনার অপেক্ষায়।

পেট কাটি দুর্গা-অর্থাৎ দেবীর দুর্গার পেট কাটা অবস্থায়। প্রতিমা তৈরির সময় থেকেই এই চিহ্ন স্পষ্ট। কথিত আছে, চার শরিকের এই পুজোয় একটা সময় বলি প্রথা বন্ধ হয়। পুজো চলাকালীন সেবায়েতের এক কন্যাকে দেবী দুর্গা ভক্ষন করেন। উব্দিগ্ন সেবায়েত মেয়ের মঙ্গল কামনায় মাকে ডেকে চলেন। সেদিন রাতেই সেবায়েতকে স্বপ্নাদেশ দেন, তিনি তাঁর মেয়েকে ভক্ষন করেছেন। তার পেট কেটে যেন মেয়েকে উদ্ধার করেন ঐ সেবায়েত। তারপর থেকেই শুরু পেট কাটি মায়ের আরাধনা।

ঐতিহ্য মেনে পেট কাটি মায়ের পুজোর সূচনা হয় রথের দিনেই। প্রতিপদ থেকেই পুজিত হন মা। সপ্তমীর সকালে কলা বৌ স্নান থেকে মায়ের ভোগ, সন্ধি পুজো, প্রাচীন প্রথা মেনেই হয় মায়ের আরাধনা। গ্রাম বাংলার পুজোর ঐতিহ্য আর পৌরানিক কাহিনী নিয়ে পেট কাটি মায়ের পুজো যেন এক অদ্ভুত পরিবেশের সৃষ্টি করে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে মায়ের মন্দির। আত্মীয় সজনেরাও পুজোর বেশ ক দিন আগে থেকেই যুক্ত হন পুজোড় সাথে।

তবে গত বারের মতোই এবারেও করোনা কাঁটা ঐতিহ্যের পুজোতেও। করোনা আবহে পুজো, ফলে বিধি নিষেধে জোর দিচ্ছেন পুজো কমিরটির সদস্যরা। তবে ভক্তদের সমাগম ঠেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই ভরসা ব্যানার্জী পরিবারের।