বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি- বহরমপুরের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। কালী পুজোর দিন সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে মন্দিরে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন, শক্তির আরাধনায়। সকাল থেকেই চলে পূজার্চনা। করোনা আবহে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয় মন্দির কমিটির তরফে। মাস্ক পরে মন্দিরে প্রবেশ, মন্দিরে প্রবেশের সাথেই দর্শনার্থীদের তাপমাত্রা মেপে নেওয়া- এসব সুরক্ষা বিধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সেজে উঠেছে গোটা মন্দির। সাথে অপরুপ সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেবী মূর্তি।
মহারাষ্ট্র নিবাসি নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ কৃষ্ণানন্দ হোতা কাজের অন্বেষণে নবাব সারফরাজ খাঁর আমলে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় আসেন। কিছুদিন পরে কাশিমবাজারে কর্মে নিযুক্ত হন। জানা যায়, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন তিনি। নবাবী শহরে কাজ করে পয়সা রোজগারের পর নিজ জন্মভিটেয় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সেই সময় স্বপ্নাদেশ পান- এই স্থান ছেড়ে না যাওয়ার। কিছুদিন পর তাঁর একটি কন্যা সন্তান হয়। নাম রাখেন করুণাময়ী। সেই সময় এই বিষ্ণুপুর ছিল জঙ্গলে ভরা- মহাশ্মশান। তবে এই বিষ্ণুপুরেই অবসর সময়ে এসে ধ্যানে মগ্ন হতেন কৃষ্ণানন্দ, সাথে আসত মেয়ে করুণাময়ীও। সেই থেকেই প্রাচীন রীতি মেনে হয়ে আসছে মাতৃ বন্দনা।