
মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ২৩ মার্চঃ খোদ অধীর গড়েই বিদ্রোহ দিকেদিকে। সাগরদিঘি, সুতির পর এবার রঘুনাথগঞ্জ। একুশের ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী বদল চেয়ে রাস্তায় নামলেন কংগ্রেস কর্মীরা।
মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক কংগ্রেস, অঞ্চল কমিটি, সাধারন কর্মীদের একাংশ প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে মিছিল করে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আনলেন । এদিন বিকেলে রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের মহল্লাপাড়া থেকে শুরু হয় মিছিল। বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে মিছিল। রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আবুল কাসেম বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে নারাজ এই কংগ্রেস নেতা কর্মীরা।
রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লক কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রঘুনাথগঞ্জ লালগোলা রাজ্য সড়ক ১০ মিনিট অবরোধ করে রাখা হয়। বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ এসে তোলে অবরোধ।
অন্যদিকে রেজিনগর বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাংশের কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের পদ ছাড়ার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করলেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে।
দল ছাড়লেন রেজিনগরের একঝাঁক কংগ্রেস নেতাও। ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কাফিরুদ্দিন সেখকে। রেজিনগর বিধানসভার যুব কংগ্রেস সভাপতি শাহনাওয়াজ আলমের দাবি, মানুষ কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবেন তাই বুঝিয়ে বলতে পারেন না প্রার্থী। প্রার্থী অযোগ্য। পদত্যাগ করেন রেজিনগর পশ্চিম কংগ্রেসের নেতা ইন্দ্রনীল প্রামানিকও।
এদিনই সুতিতে দল ছাড়ার পর প্রাক্তন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস নির্দল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মইদুল ইসলামের নাম। মঙ্গলবার সুতির বোরবোনা হাটে সভায় থেকে এই ঘোষণা হয়।
দিনভর বিদ্রোহে কার্যত জেরবার জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কর্মীদের রাস্তায় নামাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন কংগ্রেস মুখপত্র জয়ন্ত দাস । দলের কর্মীদের লোভ সংবরণ করে দলের প্রতি দায়বদ্ধ হতেই বলছেন তিনি। আর সুতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সুতিতে তৃণমূলের বিক্ষুব্দ আর কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বিদ্ধুব্দ মঞ্চ হয়েছে। লোভ সংবরণ করার উপদেশ দিচ্ছেন জয়ন্ত দাস। তাঁর আশা, ভোটে প্রভাব পড়বে না এই বিদ্রোহের।

কংগ্রেসে বিদ্রোহ নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খানের টিপ্পনী, কংগ্রেস এমনিতেই শুন্য হবে এবার। মানুষ মেনে নিচ্ছে না কংগ্রেসকে। প্রার্থীপদে জড়িয়েছে দুর্নীতি। ‘দুর্দিনের কংগ্রেস কর্মী’দের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাহের। রাজনীতির জল এখন কোনদিকে গড়ায় অধীর গড়ে অধীর আগ্রহে জেলাবাসী।















