দলবদলুদের দলে ফের স্বাগত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের সময়ে, নির্বাচনের আগে যে নেতারা দল ছেড়েছেন, এবার তারা দরখাস্ত করলেই ফিরতে পারবেন দলে। নির্বাচনে কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে করতে হবে দরখাস্ত। রাজ্যে নেতৃত্বের অনুমতি মিললেই তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে দলে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় দলবদলুদের দলে ফেরানোর রাস্তা খুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে দলে ফেরার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। তিনি জানিয়েছেন , জেলা নেতৃত্বের কাছে দরখাস্ত করতে হবে। রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন কাকে দলে দেওয়া হবে, কাকে দলে নেওয়া হবে না।
কংগ্রেসে নাম লেখানো নেতারাও এইপথে দলে ফিরতে পারে বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলে।
আবু তাহের খান পরিষ্কার বলেন, কাকে দলে নেওয়া হবে না সেটা তো আমরা বলছি না, নেওয়া নিশ্চয় হবে তবে সেটা অনুমতি নিয়ে। সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অনুমতি দিয়েই হবে যোগদান।
তবে স্থানীয় নেতাদের যোগদান করানোর অনুমতি দিতে চান না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেউ আবেদন করলে আবেদন পাঠিয়ে দিতে হবে দলের।
মোশারফ হোসেনকে দলে ফিরয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। আবু তাহের খান বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব যাকে চাইবেন তাকেই দলে নেওয়া হবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে মোশারফ হোসেন মধুর দলে ফেরার প্রসঙ্গও। শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানালেন আবু তাহের খান। দলবদলু নেতাদের দলে ফেরানো নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান।আবু তাহের খান বলেন, যে মোশারফ হোসেন বলেছিলেন কংগ্রেস জেলা পরিষদ দখল করবে। মোশারফ হোসেন ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলছেন আমি আবার আসতে চাই। কারণ জনগণ তাকে পরিগত্যাগ করেছে। এখন কিছু করার নেই বলে জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার কথা বলছেন। রাজ্য নেতৃত্ব ভাববেন।
শুধু দলে ফেরাই নয়, কোন নির্বাচিত সংস্থায় অনাস্থা আনলে সেই অনুমতিও নিতে হবে বলে জানান তাহের।